| |
               

মূল পাতা জাতীয় ১১৬ আলেমের বিরুদ্ধে তদন্তে দুদক


১১৬ আলেমের বিরুদ্ধে তদন্তে দুদক


রহমত ডেস্ক     23 June, 2022     12:05 PM    


১১৬ আলেমের আর্থিক লেনদেনের তদন্ত চেয়ে জমা দেওয়া গণকমিশনের অভিযোগ আমলে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের অনুসন্ধানকারী দল গঠন করা হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিবেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। অনুসন্ধানের জন্য নিযুক্ত অন্য দুই কর্মকর্তা হলেন দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও উপপরিচালক মো. আহসানুল কবীর। গত মঙ্গলবার (২১ জুন) এ–সংক্রান্ত একটি দাপ্তরিক চিঠি তিন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। দুদকের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডল এ চিঠি পাঠান। চিঠির সঙ্গে ২ হাজার ২১৫ পাতার শ্বেতপত্র কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ‘গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট টিমের মাধ্যমে বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখা হতে অনুসন্ধানের সদয় অনুমোদন ও অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) বরাবর প্রেরণের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’ 

দুদকের দাপ্তরিক চিঠিতে দেখা যায়, ১২ মে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ অভিযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপরিচালক (দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলে) পাঠান। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

আরো পড়ুন : ১১৬ আলেমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়নি: দাবি দুদক সচিবের

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে ‘মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত গণকমিশন’ সম্প্রতি ১১৬ আলেম ও ইসলামি বক্তার একটি তালিকা গত ১১ মে দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দেয়। তালিকায় স্থান পাওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়ন এবং ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করা ও ধর্মের নামে ব্যবসার অভিযোগ আনে গণকমিশন। তারা ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শীর্ষক শ্বেতপত্র প্রকাশ করে।

প্রসঙ্গত, গণকমিশনের শ্বেতপত্র নিয়ে বিভিন্ন মহলে, বিশেষ করে দেশের শীর্ষ আলেমদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ২১ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে ‘মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস’ তদন্তে গঠিত গণকমিশনের অভিযোগের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। তিনি বলেন, গণকমিশনের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘যাঁদের নামে তাঁরা দুর্নীতির দায় দিচ্ছেন, এগুলো আমরা তদন্ত করিনি। দেখিও নাই। কাজেই এগুলো না দেখে বলতে পারব না। যে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ হবে না, সেই অভিযোগ কখনো আমলে নেওয়া হবে না।’ যদিও গত ১২ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নিজে আনুষ্ঠানিকভাবে এই শ্বেতপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন।