ফের জামায়াতকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর

মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী জামায়াতকে ফের ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ক্ষমা চাইলে জামায়াত বর্তমানের তুলনায় আরো শক্তিশালী হবে।

আজ (২২ জুন) বুধবার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি কর্তৃক আয়োজিত ‘বন্যা ও জলাবদ্ধতার দায় সরকারের’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আমার বাংলাদেশ পার্টির আহ্বায়ক ও প্রাক্তন সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলটির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নদী বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ইনামুল হক, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তুজা ও মানবাধিকার কর্মী রুবী আমাতুল্লাহ প্রমুখ।

এবি পার্টির উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জামায়াতকে অনুরোধ করেন জনসাধারণের সামনে আবারও ক্ষমা চাইতে। জামায়াতের বর্তমান নেতারা তো আর মানবতাবিরোধী অপরাধ করেননি। তাদের পূর্ব-পুরুষরা করেছেন। জামায়াতের গোলাম আজমের সঙ্গে আমার একদিন কথা হয়েছিল। আমি উনাকে বলেছিলাম, ভুল হয়েছে ক্ষমা চান না কেন? তিনি বললেন, ‘ক্ষমা তো একবার চেয়েছি’। আমি বললাম, ‘আমি তো দেখিনি। তখন তিনি বললেন, ‘আবার চাইতে পারি।’ আমার মনে হয়, তিনি বেঁচে থাকলে ক্ষমা চাইতেন। জামায়াত ক্ষমা চাইলে তাদের শক্তি আরও বৃদ্ধি হবে। সামনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সব দলকেই শরীক হতে হবে। এতে আন্দোলনের শক্তি বাড়বে।

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, আমাদের সে সরকার কোথায়, যে সরকার জনগণের কথা চিন্তা করবে? রাজনীতিবিদ হলেও তো সে একজন মানুষ। তিনি তো জনগণের পালস রিভিউ করতে পারে। মানুষ কী চায় সেটা জানতে পারে। সহমর্মিতা ছাড়া কোনো সমাজ বা রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারে না। গত ৫০ বছর ধরে আমরা শুধু বিভেদ সৃষ্টি করেছি। ২০১৪ সাল থেকে যে সরকার আমাদের ঘাড়ে বসেছে। তাকে কিছুতে ঘাড় থেকে নামাতে পারছি না। এ জাতীয় সরকারকে সরাতে হলে, প্রথমত জিও-পলিটিক্সের দিকে নজর দেওয়া, আর দ্বিতীয়ত গণবিস্ফোরণ ঘটাতে হবে।