| |
               

মূল পাতা জাতীয় ৬-দফা নির্যাতিত মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস : রাষ্ট্রপতি


৬-দফা নির্যাতিত মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস : রাষ্ট্রপতি


রহমত ডেস্ক     07 June, 2022     01:50 PM    


তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর ৬-দফার দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, ঐতিহাসিক ৬-দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদই নয়, সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি-আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৬ সালের ৬-দফা অন্যতম মাইলফলক। ৬-দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন,আমি তাঁদের স্মৃতির প্রতিও জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা’। ঐতিহাসিক এ দিনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। আজ (৭ জুন) মঙ্গলবার ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালির স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি, ১৯৪৮ সালে বাংলাভাষার দাবিতে যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ’৫২’র ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। রচিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি। এরপর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৭ জুন লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬-দফা প্রস্তাব পেশ করেন। শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রানীতি, রাজস্ব ও করনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, আঞ্চলিকবাহিনী গঠনসহ ওই ৬-দফার মধ্যেই তিনি তৎকালিন পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন, যার মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা।

রাষ্ট্রপতি জানান, ঐতিহাসিক ৬-দফা ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং তাঁকে বারবার গ্রেফতার করে। তা সত্ত্বেও তিনি (বঙ্গবন্ধু) ৬-দফার দাবি থেকে পিছপা হননি। তাঁর নেতৃত্বে দাবি আদায়ের আন্দোলন বেগবান হয় এবং তা অল্প সময়ের মধ্যে সারাবাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। শাসকগোষ্ঠী ৬-দফার আন্দোলন স্তিমিত করতে গ্রেফতার, নির্যাতনসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬-দফা দাবির সমর্থনে আওয়ামী লীগের আহ্বানে প্রদেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট চলাকালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মদদে পুলিশের গুলিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ১১ জন শাহাদত বরণ করেন। আহত ও গ্রেফতার হন অনেকে। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।