ওসমান হারুনী, জামালপুর প্রতিনিধি 01 June, 2022 07:40 PM
জামালপুরের ইসলামপুরে যথা সময়ে বীর নিবাস নির্মাণ কাজ শরু না হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে বীরঙ্গনা রাবেয়া। বীর নিবাস নির্মাণে প্রশাসনের সঠিক তদারকি না থাকায় রাবেয়া খাতুনের বীর নিবাস নির্মাণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে,মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে জামালপুর জেলার উপজেলায় ৬জন বীরঙ্গনা ও ৬জন বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য প্রথম পর্যায়ের মোট ১২টি বীর নিবাস নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যায়ে হচ্ছে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা কিন্তু প্রশাসনের সঠিক তদারকী না থাকায় নানান জটিতলাসহ যথা সময়ে এসব ঘর নির্মাণে চলছে ধীর গতি ও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বীরঙ্গনা ছখিনা জানান, তার বাড়িতে আসার কোন রাস্তা নেই। ফলে নির্মাণ সামগ্রী আনা নেওয়ার রাস্তা না থাকায় ঠিকাদার আমার ঘরটি নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
১০টি বীর নিবাসের কাজ চলমান থাকলে পাথর্শী ইউনিয়নের বীরঙ্গনা রাবেয়া খাতুনের বীর নিবাস কাজ এখনো শুরুই হয়নি। অথচ চলতি অর্থ বছরের আগামী জুন মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের বীর নিবাস গুলির কাজ শেষ হওয়া কথা রয়েছে। প্রশাসেন ঘর নির্মাণে আশ^াসের রাবেয়ার পুরাতন ঘরটি ভেঙ্গে ভিটে খালি করে দিয়ে এখন খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
রাবেয়া খাতুন ও পরিবারের লোকজন জানান, আমাদের বাড়ীর একপাশে গর্ত থাকায় প্রশাসন বীর নিবাস কাজ স্থগিত রাখলে পরবর্তীতে নিজেরাই লক্ষ টাকা ব্যায়ে ইটের গাইট ওয়াল নির্মাণ ও গর্ত ভরাট করেছি। এখন আর বীরনিবাস ঘর তুলা কোন সম্যসা হওয়ার কথা নয়। পুরাতন ঘরটি ভেঙ্গে ভিটে খালি করা হয়েছে। খুব কষ্টে খোলা আকাশের নিচে ছাপড়া করে আছি।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবী জরুরী ভিত্তিতে যেন রাবেয়া বীর নিবাসসহ অন্যান্য বীর নিবাস কাজ যথা সময়ে শেষ করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাজিব এন্টার প্রাইজের মালিক খায়রুল বাশার রাজীব জানান, প্রশাসন থেকে অনুমতি পেলে রাবেয়ার বীর নিবাস তৈরী কাজ শুরু করবো।
ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম.জামাল আব্দুন নাসের বাবুল জানান, ঘরটি নির্মাণ না হওয়ায় রাবেয়া খাতুন মানবেতর জীবন যাপন করছে। রাবেয়া সহ অন্যান্যদের বীর নিবাস জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন ও দায়িত্বে সংশ্লিষ্টদের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।বাঙ্গালী জাতীর বীরদের বীর নিবাস নির্মাণের জটিতলা সমাধান করা যথা সময়ে প্রশাসন ঘরগুর্লি নির্মাণ করবেন এটাই প্রত্যাশা ভোক্তভোগীদের।