| |
               

মূল পাতা জাতীয় মামলাজট কমানোর গুরু দায়িত্ব বিচারকের : আইনমন্ত্রী


মামলাজট কমানোর গুরু দায়িত্ব বিচারকের : আইনমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     29 May, 2022     09:28 PM    


আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, মামলা জট কমাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ সরকার বিচার বিভাগের জন্য বিভিন্ন লজিস্টিক সুবিধা বৃদ্ধি করেছে, মামলাজট কমানোর গুরু দায়িত্ব বিচারকের। বিচারকদের আরো উদ্যোগী হতে হবে। মামলাজট কমানোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০০৯ সালের পূর্বে বিচারক ছিল মাত্র সাত থেকে আট শত। এখন এ সংখ্যা উনিশ শতের উপরে। ইতোমধ্যে ১২২৫ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। বিচারকদের যানবাহন সমস্যা সমাধান হচ্ছে। অতি শিঘ্রই তাদের জন্য জেলা পর্যায়ে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। সকল কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে।

আজ (২৯ মে) রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটগণের জন্য আয়োজিত ১৪৫তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক  বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তৃতা করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বাক স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। ডিজিটাল মাধ্যমে যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেগুলো দমন করার জন্য এই আইন করা হয়েছে। করোনার অতিমারির মধ্যেও জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আদালত সচল রাখা হয়েছে। অধ্যাদেশ জারি করে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডাটা সুরক্ষা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে স্টেক হোল্ডারদের যৌক্তিক পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। ডাটা সুরক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্তকরণের আগে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনা করা হবে। এর আগে তিনি জুন মাসের এক তারিখে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সারা বিশ্বে ডাটা সুরক্ষার ব্যাপারে কি কি আইন আছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং যে উদ্দেশ্যে আইনটি প্রণয়ন করা হচ্ছে, সেই উদ্দেশ্য যাতে সাধিত হয় তা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরো বলেন, দন্ডপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য পদে থাকার সুযোগ আছে কি-না,  এই ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্টের ২-৩টি রায় আছে। তাঁর জানামতে, হাজী সেলিম এই মামলায় দন্ডের বিষয়ে আপিল বিভাগে আপিল করেছেন। যতক্ষন পর্যন্ত এই আপিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংসদ সদস্য পদ 'ইফেক্টেড' হয় না।