| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ‘শেখ হাসিনার সরকার আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’


‘শেখ হাসিনার সরকার আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’


রহমত ডেস্ক     27 May, 2022     08:16 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আজকে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের লাঠি দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে সমর্থন দিয়ে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিচ্ছেন, ক্ষমতাসীনরা আপনাদের কথা চিন্তা করেন। যারা করছে তাদের পরিণতি কি হবে অতীতে আমাদেরকে কাছে বহু উদাহরণ রয়েছে। এর পরিণতি শুভ হবে না। সরকার কেন এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছেন এটা সবাই জানে। শেখ হাসিনার সরকার আজকে যখন চতুর্দিকে ঘেরাও হয়ে গেছে, আন্তর্জাতিকভাবে তারা বিচ্ছিন্ন, আন্তর্জাতিকভাবে তারা সমর্থন শূন্য, এদেশের মানুষ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের আর কোনো পথ নাই, তাদের পথ চতুর্দিকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তখন তারা এই গুণ্ডামি এই সন্ত্রাসের পথ বেঁছে নিয়েছে।

আজ (২৭ মে) শুক্রবার  রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর উত্তরের সভাপতি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, শামীমুর রহমান শামীম, রাজিব আহসান, হাসান জাফর তুহিন, সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।

সম্প্রতি পদ্মাসেতু থেকে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেয়ার বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই প্রতিবাদে বিএনপির ছাত্রসংগঠন গত মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ মিছিল করতে গেলে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সংঘর্ষে জড়ায়। ছাত্রদলের অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ক্ষমতাসীন সংগঠন হামলা চালিয়েছে।

সব ছাত্রদের হলে উঠিয়ে সহঅবস্থানের রাজনীতি চালু করার পরামর্শ দিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। দ্রুত দায়ীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওয়াত আনতে হবে। বিশ্বজিৎ, আবরারদেরও ছাত্রলীগের গুন্ডারা হত্যা করেছিল। আজ যারা প্ররোচণা দিচ্ছে তারা বিনাভোটের সরকার। দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করা সরকার। তাদের কোনো কমিন্টমেন্ট নেই। গণতন্ত্রকে তারা পঁচাত্তরেও হত্যা করেছে, আবার করেছে। জনগণের সমর্থন থাকলে কেউ গুন্ডামিতে যায় না। কারণ আপনাদের পায়ের নিচে মাটি নাই। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের জায়গা না হয় তাহলে প্রশাসনের জায়গা সারা বাংলাদেশে হবে না। ছাত্রদলের সাথে বিএনপির অঙ্গসংগঠন আছে। 

তিনি আরো বলেন, কারো যদি জনসমর্থন থাকে, গণতান্ত্রিকভাবে পায়ের নিচে মাটি থাকে তাহলে এরকম গুণ্ডামিতে সন্ত্রাসীর পথে কেউ যায় না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছে, সারা বাংলাদেশে তারা আন্দোলনের সূচনা করেছে। সারাদেশে এই আন্দোলন হবে। কয় জায়গায় আপনারা এই সন্ত্রাসীদের পাঠাতে পারবেন? আমরা বলতে চাই, এই ছাত্র দলের নেতা-কর্মীরা এদেশের মানুষের সন্তান, তাদের অভিভাবকরা আজকে প্রস্তুত হচ্ছে। বিএনপিসহ যত অঙ্গসংগঠন আছে তারা প্রত্যেকে ছাত্রদলের ভাই অথবা অভিভাবক। তাই অভিভাবকরা কেউ বসে থাকবে না।