| |
               

মূল পাতা রাজনীতি পদ্মাসেতু আ’লীগের পৈত্রিক সম্পত্তি না : মির্জা ফখরুল


পদ্মাসেতু আ’লীগের পৈত্রিক সম্পত্তি না : মির্জা ফখরুল


রহমত ডেস্ক     23 May, 2022     05:46 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনা পদ্ম সেতু করার বড়াই করছেন। পদ্মা সেতু আপনার একার না, আওয়ামী লীগের পৈত্রিক সম্পত্তিও না। জনগণের পকেট থেকে যে ট্যাক্স কেটে নিয়েছেন, সেই টাকা দিয়ে করেছেন। এখানে যে দুর্নীতি করেছেন, তা আপনাদের সমস্ত দুর্নীতির সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জনগণ জানতে চায়, পদ্মা সেতুর জন্য মানুষের কত টাকা কেটে নিয়েছেন। জাতির কত টাকা আপনারা এই পদ্মা সেতুতে ব্যয় করেছেন। আর কত টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন।

আজ (২৩ মে) সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মঞ্জু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি নিন্দা ও ধিক্কার জানাই প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের জন্য, ‘যিনি খালেদা জিয়াকে টুস করে পদ্মা থেকে ফেলে দেয়ার হুমকির দিয়েছেন। আজকে দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছে। কোনো সভ্য এবং গণতান্ত্রিক সমাজে এই ধরণের ভাষা ব্যবহার করা যায় না।প্রধানমন্ত্রী এখন নার্ভাস হয়ে গেছেন। তিনি দেখছেন পাচ্ছেন তার ক্ষমতার দিন শেষ। তিনি দেখতে পাচ্ছেন, সামনে আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।আজকে আওয়ামী লীগ উন্নয়ন-উন্নয়ন করে চিৎকার করে। কিসের উন্নয়ন করেছেন, কার উন্নয়ন করেছেন? উন্নয়ন তো করেছেন পি কে হালদারের। উন্নয়ন করেছেন শিক্ষামন্ত্রীর ভাইয়ের, বেয়াই মোশাররফের ভাইয়ের। আর আপনারা যারা ক্ষমতায় আছেন, তাদের প্রত্যেকের। তারা এই দেশেকে একটা লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছেন। জনগণের কোনো উন্নয়ন হয় না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেকে একটা দুর্গের মধ্যে বন্দি করে রেখেছেন, আপনি তো স্বেচ্ছায় নিজেকে-নিজে বন্দি করে রেখেছেন। আপনি তো জনগণকে ভয় পান। জনগণের সামনে আসেন না। জনগণের সামনে আসলে তাদের ভাষা বুঝতে পারতেন। তারা কি বলতে চায় তা বুঝতে পারতেন। আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে, প্রত্যেক দিন অর্থনীতিবিদরা বলছেন- বাংলাদেশের অর্থনীতি রসাতলে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছেন। প্রত্যেক দিন খবরের কাজগ খুললে দেখা যায়, লুটপাট হচ্ছে। আর এর সঙ্গে জড়িত সরকারী দলের লোকেরা। আপনি খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেন। তিনি হচ্ছেন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। যিনি কোনো দিনও নির্বাচনে পরাজয় বরণ করেনি।

তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ, তাকে এখন যদি উন্নত চিকিৎসা দেওয়া না হয়, তাহলে তার জীবন হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। আমরা বারবার বলেছি, তাকে মুক্তি দেন। তাই আজকে এখান থেকে দাঁড়িয়ে আহ্বান ও দাবি জানাতে চাই, এখনও সময় আছে তাকে মুক্তি দিন। বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিন। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের যে মামলা আছে, তা তুলে নিন। যারা কারাগারে আছে তাদের মুক্তি দিন। দেশের মানুষই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে, খুব পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, দেশনেত্রীকে কটূক্তি করার জন্য ক্ষমা চান। অন্যথায় জনগণ আপনাদের ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেবে না। আপনাকে টেনে-হিঁছড়ে নাবাবে ক্ষমতা থেকে।