| |
               

মূল পাতা জাতীয় বিশ্বজয়ী হাফেজদের সংবর্ধনা দিলো দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন


বিশ্বজয়ী হাফেজদের সংবর্ধনা দিলো দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন


এ বি সিদ্দীক     20 May, 2022     08:16 PM    


বিশ্বজয়ী হাফেজদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাতে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আড়ম্বরপূর্ণ জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশ্বজয়ী হাফেজদের হাতে সম্মাননা তুলেদেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি, ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মােল্লা ও ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু।

সম্মাননা গ্রহণ করেন বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম, হাফেজ তরিকুল ইসলাম, হাফেজ নাজমুস সাকিব, হাফেজ জাকারিয়া, হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী, অন্ধ হাফেজ তানভীর, হাফেজ নাহিয়ান হাসান ও বিশ্বজয়ী শিশু ক্বারী আবু রায়হান প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে বিশ্বজয়ী হাফেজদের গর্বিত উস্তায হিসেবে সংবর্ধনা দেয়া হয় উস্তাযুল হুফফাজ শায়খ আব্দুল হককে। এ ছাড়া বাংলাদেশে ইসলামী সঙ্গীত প্রচারে বিশেষ অবদান রাখায় ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা গ্রহণ করেন কলরবের নির্বাহী পরিচালক সাঈদ আহমাদ, যুগ্ম নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ বদরুজ্জামান, কলরবের সিনিয়র শিল্পী আবু রায়হান, ইয়াসিন হায়দার, হোসাইন আদনান ও তাওহীদ জামীলসহ কলরবের শিল্পীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরামদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতী রুহুল আমিন, দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইয়াহিয়া , হাইআতুল উলয়ার কো চেয়ারম্যান মাওলানা সাজিদুর রহমান, জাতীয় মুফতি বোর্ডের মহাসচিব মুফতী দিলাওয়ার হুসাইন, লেখক ও গবেষক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, ইসলামবাগ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও জামিউল উলুমের মুহতামিম মাওলানা আবুল বাশার নোমানী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদরাসাগুলোতে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়া হয়। সেখানে কোনদিন জঙ্গি তৈরি হতে পারে না। আমরা সেটা প্রমাণ করে দিয়েছি। সব ভুল বুঝাবুঝির দূর করে আলেম-ওলামাদেরকে আমরা একটি জায়গায় নিয়ে এসেছি। মাদরাসার দুই-একটি ছাত্র বিপথে গিয়েছিল। তাছাড়া আমরা অসংখ্য জঙ্গি ধরেছি। মাদরাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের খুব কম সংখ্যক জঙ্গি পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বের অনেক মুসলিম রাষ্ট্র ভ্রমণ করেছি। বাংলাদেশের মতো ধর্মপ্রাণ মুসলমান অনেক কম দেশে দেখেছি। আগে দেশের মসজিদগুলোতে দেখেছি শুধু সিলিং ফ্যান ছিল। এখন মসজিদে মসজিদে এসি। এখন যে পরিমাণ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে মসজিদে যায় আগে সে পরিমাণ মুসল্লি মসজিদে যেতেন না। এমনটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র আলেম-ওলামাদের ইসলাম ধর্মের দাওয়াতের কারণে।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিনই তার সরকার আলেম-ওলামাগণের মর্যাদা রক্ষায় সর্বদা ভূমিকা রেখে যাবেন। পাশাপাশি কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান আহরণ এবং তার প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখবেন। 

তিনি আরো বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার পিতার আদর্শ অনুসরণ করে অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি ইসলামী অঙ্গনের শত বছরের স্বপ্ন ও দাবি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেড় শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদ্রাসাকে বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং এর সর্বোচ্চ সনদকে মাস্টার্সের সমমান প্রদান করেছেন। নতুন ধারার দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে অসংখ্য কওমি আলেমের কর্মসংস্থান করেছেন। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে এর অধীনে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ প্রতিটি প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যার এসব অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে হাজার বছরের ইতিহাসে তুলনাহীন অবদান ৬৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের গৌরবজনক কর্মটি প্রধানমন্ত্রীর নামকে বাংলাদেশের শাসন ও নেতৃত্বের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখবে।