| |
               

মূল পাতা সারাদেশ বিচারপতি মানিকের অপকর্মের শেষ নেই : ফয়জুল করীম


বিচারপতি মানিকের অপকর্মের শেষ নেই : ফয়জুল করীম


রহমত ডেস্ক     20 May, 2022     09:30 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, যাদের চরিত্রের ঠিক নেই, যারা অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে আন্তর্জাতিক প্রসিকিউটর থেকে বহিস্কার হয়েছে। যে মহিলা মাকে ঘর থেকে বের করে দেয়, বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত সে ব্যক্তি ওলামাদের তালিকা করে। বিচারপতি মানিকের অপকর্মের শেষ নেই।

শুক্রবার (২০ মে) বাদ জুম’আ বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে কথিত ‘গণকমিশন’ কর্তৃক দেশের সম্মানিত ১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র—চক্রান্তের প্রতিবাদ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শিক্ষা—সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার সংকোচন বন্ধ, ইসলাম, দেশ ও মানবতাবিরোধী মদের বিধিমালা বাতিল, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল বিভাগ আয়োজিত সমাবেশে প্রসভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, দাওয়াহ বিষয়ক উপদেষ্টা মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, সহ অর্থ সম্পাদক মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমীন, যুব আন্দোলন সেক্রেটারী আতিকুর রহমান মুজাহিদ, শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি নুরুল করীম আকরাম, চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফতী সৈয়দ জিয়াউল করীম, বরিশাল সদর জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফতী হেদায়েতুল্লাহ আজাদী, বাকেরগঞ্জ নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, মানি লন্ডারিং আইন ভঙ্গের অভিযোগে বলা হয়, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ২০১০—১১ সালের আয়কর হিসাবে দেখিয়েছেন লন্ডনে তার তিনটি বাড়ি রয়েছে। এই বাড়িগুলো কিনেছেন ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে। তিনটি বাড়ির মধ্যে একটি বাড়ির ঠিকানাও অসম্পূর্ণ বা ভুল দেয়া হয়েছে। আয়কর নথিতে উল্লেখ করা ৬ জঁংশরহ ডধু, খড়হফড়হ ঝড১৭ বাড়িটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। আয়কর নথিতে দেখানো হয়, তিনি ৫০ লাখ টাকায় এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাড়ি বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে ৪০ লাখ টাকা লন্ডনে তিনটি বাড়ি কিনতে ব্যয় হয়। আয়কর নথিতে উল্লিখিত তিনটি বাড়ির বাইরেও লন্ডনে তার আরও একটি বাড়ি রয়েছে। আয়কর নথিতে লন্ডনে তিনটি বাড়ি কিনতে যে পরিমাণ টাকা ব্যয় দেখিয়েছেন, তার কয়েকগুণ বেশি মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে। অতিরিক্ত এই টাকার কোনো হিসাব বা উক্ত আয়কর নথিতে দেখানো হয়নি। বাংলাদেশ থেকে টাকা লন্ডনে কী পন্থায় পাঠানো হয়েছে, তার কোনো উল্লেখ আয়কর নথিতে নেই। দেশে বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় আইন ও মানি লন্ডারিং (মুদ্রা পাচার) আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের বাইরে এত বিপুল পরিমাণ টাকা সরাসরি পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই। তার হিসাবে উল্লেখ করা ৪০ লাখ টাকা লন্ডনে পাঠিয়ে তিনি বর্তমানে বিদ্যমান মানি লন্ডারিং আইন ও বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় আইন ভঙ্গ করেছেন। এধরণের দুর্নীতিবাজরা ওলামাদের জঙ্গি ও দুর্নীতিবাজ বলে গালি দেয়।

তিনি আরো বলেন,  বাংলাদেশের মানুষের যতটুকু উন্নতি তার পুরোটাই মানুষের শ্রমের ফসল, সরকারের কোন নীতির কারণে নয়। রাষ্ট্রের রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি। বিদেশে টাকা পাচারকারীদের ব্যাপারে তাদের কোন বক্তব্য নেই। আসলে মানিক—তুরিন গংরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মাঠে নেমেছে। সরকার যদি ভোটের অধিকার বারংবার কেড়ে নিতে চান তাহলে বাংলার মানুষ আপনাদেরও উৎখাত করে ছাড়বে। আমরা কোন হামলা, মামলা বা বুলেটের ভয় করি না। বাংলার মানুষ আইয়ুব খানের বুলেটের ভয় পায় নাই, আপনাদের এসব জুলুম নির্যাতনকেও ভয় পায় না। দেশে কোথাও মদের দোকান খোলা হলে বাংলাদেশের জনতা মেনে নেবে না। মদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর কঠোর অবস্থান ছিলো। তাঁর কণ্যার সময় মদের আইন পাশ হতে পারে না। তিনি কারাবন্দী সকল আলেমের মুক্তি চান।  যদি সোজা আঙ্গুলে ঘি না ওঠে তাহলে বাংলার জনতা আঙ্গুল বাঁকা করতে জানে।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: বরিশাল বরিশাল বরিশাল সদর