| |
               

মূল পাতা ইসলাম সবাই বায়তুল মুকাদ্দাস দখলমুক্ত করার দীপ্ত শপথ নিই


সবাই বায়তুল মুকাদ্দাস দখলমুক্ত করার দীপ্ত শপথ নিই


মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী     19 April, 2022     11:19 AM    


আজ ১৭ রমজান। ঐতিহাসিক বদর দিবস। এই দিন ইসলামের ইতিহাসে উজ্জ্বল এক দিন। মিথ্যাকে পরাজিত করে সত্যকে সুউচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠার দিন। বাতিলের মরীচিকা দূর করে হকের পতাকা উড্ডীন করার শ্রেষ্ঠ দিন। বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নেতৃত্বে হিজরী দ্বিতীয় সনে রমজান মাসের ১৭ তারিখে সংঘটিত হয়েছিল ঐতিহাসিক এই বদর যুদ্ধ।

সম্মুখ সমরের দুনিয়া কাঁপানো এই যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে অনেক গুরুত্ব বহন করে। এ যুদ্ধে মাত্র ৩১৩ জন মুসলমান যোদ্ধা মক্কার ১ হাজার সশস্ত্র প্রশিক্ষিত কাফের যোদ্ধার মোকাবিলায় বিজয় অর্জন করে। আল্লাহ তায়ালা এ যুদ্ধ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই দু’টি দলের মোকাবিলার মধ্যে তোমাদের জন্য নিদর্শন ছিল। একটি দল আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করে। আর অপর দল ছিল কাফেরদের। এরা স্বচক্ষে তাদেরকে দ্বিগুণ দেখছিল। আর আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা নিজের সাহায্যের মাধ্যমে শক্তি দান করেন। এরই মধ্যে শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে দৃষ্টিবানদের জন্য। (সূরা আল ইমরান : আয়াত ১৩)।

মুসলমানদের ঈমানী শক্তির কাছে কুফরি শক্তির শোচনীয় পরাজয়ের মাধ্যমে সেদিন রচিত হয়েছিল ইসলাম ও মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয় ইতিহাস। এ যুদ্ধের পর থেকে ইসলামের বিজয়ধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র আরব উপত্যকায়। পতনঘণ্টা বেজে উঠেছিল বিশ্বের দাম্ভিক শক্তি সমূহের।

আজকে সারা বিশ্বে মুসলমানরা ইসলাম বিদ্বেষীদের হাতে মার খাচ্ছে। মুসলমানদের প্রথম কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাসের ভিতরে পবিত্র রমজানের বরকতময় এই মুহুর্তে নামাজরত মুসল্লীদের নির্মম নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিন, কাশ্মীর সহ আরাকানের দিকে তাকালে মনে হয় যেন মুসলমানরাই একমাত্র সেই জাতি যাদের জীবন, সম্পদ, ঘরবাড়ি এবং তাদের মা-বোনদের ইজ্জতের কোনো মূল্য নেই। বর্তমানে সারা বিশ্বে মুসলমানদের চরম এই দুর্দশার একমাত্র কারণ মুসলমানদের ঈমানী দুর্বলতা এবং ভীরু কাপুরুষতা। মুসলিম বিশ্ব আজ বহুদাবিভক্ত ও তাগুতি শক্তির ক্রীড়নক। সুতরাং বদরের মহান বিজয় ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সাহাবায়ে কেরামদের ঈমানী চেতনায় উজ্জীবিত হই। ইহুদিদের কবল থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস দখলমুক্ত করার দীপ্ত শপথ নিই আজ। আল্লাহ তায়ালা যেন কবুল করেন, আমীন।

লেখক :খতীব, বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মিরপুর, ঢাকা।