তাহলে তো ভাসানী, বঙ্গবন্ধু, নজরুলও নাস্তিক ছিলেন : মেনন

ধর্মাশ্রয়ীদের বিপক্ষে এবং কৃষকদের পক্ষে দাঁড়াতে তরুণ, যুবকদের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, যেখানে বিজ্ঞান পড়াতে গেলে জেলে যেতে হয়, টিপ পড়ার কারণে কথা শুনতে হয় এমন বাংলাদেশ কখনো দেখতে চাইনি। এসব কথা বললে এখন নাস্তিক বলা হয়। তাহলে তো মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু, কাজী নজরুল এরা সবাই নাস্তিক ছিলেন।

আজ (১১ এপ্রিল) সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয় কৃষক সমিতি ও বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়নের আয়োজিত ‘কৃষকের পানির অধিকার নিশ্চিত করার দাবি’তে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হরেন্দ্রনাথ শীল ফোরামের সভাপতি সঞ্জীব দ্রং।

মেনন বলেন, বিভিন্ন স্থানে নদী দখল করে রাস্তাঘাট, দোকানপাট নির্মাণ করা হচ্ছে। টিপামুখ, তিস্তার বাঁধ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এসবের কিছুই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর করছি। কিন্তু তিস্তা কেন খনন হচ্ছে না? দুই কৃষকের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে কৃষকদের পানি সংকটের বিষয়টি সবার সামনে এসেছে। এসব বিষয়ে এখন কথা বলার লোকও কমে গেছে। আমরা আমাদের যাবতীয় উন্নয়নের হিসাব করছি জিডিপি, মাথাপিছু আয় দিয়ে। শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু আয় আমাদের চেয়ে বেশি কিন্তু তারা এখন ধুঁকছে। তাদের সব ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। খাদ্য সংকট ও বৈদেশিক নির্ভরতা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারণ ছিল, এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও খাদ্য উৎপাদনের জন্য যে পানি প্রয়োজন এ বিষয়ে আমরা উদাসীন। বরেন্দ্র অঞ্চলে আদিবাসীরাই একসময় বিশাল বিশাল পুকুর খনন করেছিল। এখন সেখানে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর প্রতিবছর ১ ফুট করে নিচে নেমে যাচ্ছে। সমস্ত পুকুর শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নদী ব্যবস্থাপনা ও ভূ-উপরস্থ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।