| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘রাস্তায় দোকানপাট বসানো এবং গাড়ি পার্কিং বন্ধ করতে হবে’


‘রাস্তায় দোকানপাট বসানো এবং গাড়ি পার্কিং বন্ধ করতে হবে’


রহমত ডেস্ক     11 April, 2022     08:28 PM    


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে রাস্তায় দোকানপাট বসানো এবং যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধ করতে হবে। রাজধানীর অধিকাংশ জায়গায় দেখা যায় রাস্তা দখল করে দোকান-পাট বসানো হয়েছে। আবার রাস্তার ওপরে যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। যারা রাস্তার ওপর গাড়ী রাখবে, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

আজ (১১ এপ্রিল) সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন-ডুরা’র উদ্যোগে আয়োজিত “অসহনীয় যানজট : সমাধান কী” শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডুরার সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক শাহেদ শফিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বুয়েটের পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম।

তাজুল ইসলাম বলেন, যানজট বিশ্বের সকল দেশেই আছে। অনেক দেশ কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে তা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো যে প্রক্রিয়ায় যানজট সমস্যার সমাধান করেছে সেই ভাবে আমাদের করা সম্ভব নয়। কারণ তাদের দেশের চিত্র আর আমাদের দেশের চিত্র এক না। সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে সবার আগে এরপর সমাধান খুঁজতে হবে। আমরাও বসে নেই। এ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। রাস্তা না রেখে শুধু বড় বড় বিল্ডিং করলে এবং ব্যাক্তিগত গাড়ীর সংখ্যা বাড়লে রাস্তায় যানজট হওয়া স্বাভাবিক। রাস্তায় গাড়ীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারে সকলকে অনুপ্রানিত করতে হবে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বলছে এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গাড়ীর গতি মানুষের হাটার চেয়েও কম হবে।

তিনি আরো বলেন, ট্র্যাফিক জ্যাম নিরসন করা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব নয়। সমন্বিতভাবে কাজ করলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। এক্ষত্রে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ করতে হবে। ট্রাফিক আইন মানার বিষয়ে মানুষকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। ঢাকা ডিটেল এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ সে লক্ষ্যে প্রণয়নে করা হচ্ছে। ঢাকাকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। মূল ঢাকায় না থেকে যাতে করে মানুষকে সম্প্রসারিত এলাকায় স্থানান্তর করা যায় সে ব্যাপারেও তাদের উৎসাহিত করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিটি কর্পোরেশন নিজেদের অর্থায়নে বিমানবন্দর বানিয়েছে, সাবওয়ে নির্মাণ করেছে। আমাদের দুই সিটি কর্পোরেশন অনেক দায়িত্ব পালন করছে। দুই মেয়রের কাজ করার অনেক আগ্রহ রয়েছে।তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করার সক্ষমতা আছে কি না তা দেখতে হবে।