| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হতে পারে : জিএম কাদের


বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হতে পারে : জিএম কাদের


রহমত ডেস্ক     07 April, 2022     09:57 PM    


জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, মেগা প্রকল্পের জন্য বিদেশ থেকে নেওয়া ঋণের বোঝা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এই বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা নিয়ে চললে বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হতে পারে। আমরা অনেক বড় ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়েছি। মেগা প্রজেক্টের নামে বিভিন্ন সূত্র থেকে বিভিন্ন ধরনের ঋণ গ্রহণ করেছি। আমরা অনেক সময় অনেক বেশি সুদে ঋণ নিয়েছি।

আজ (৭ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় পার্টি মহানগর দক্ষিণের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আব্দুল মান্নান, নাজমা আক্তার, জহিরুল ইসলাম জহির প্রমুখ।

জি এম কাদের বলেন, গত অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল সাড়ে চার লাখ কোটি টাকার মতো। সব মিলিয়ে সাড়ে এগার লাখ কোটি টাকার মতো বর্তমান সরকারের এখন ঋণ রয়েছে। এই বছরও দেশি-বিদেশি এক লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য একটা প্রাক্কলন করা হয়েছে। এই ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে আমরা যদি সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকি এবং এই খরচগুলো যখন আমাদের করতে হবে তখন বাংলাদেশের দেউলিয়া হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। আমি যতটুকু খবর পেয়েছি, গত অর্থবছরে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয়েছে। সেই হিসাবে আমাদের আয় সংখ্যা অনেক কম। আমাদের আয় কখনোই ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হতো না। এই যে ৪০০ বিলিয়ন ডলার আমাদের বেশি খরচ হচ্ছে, এটা কিন্তু আমাদের রিজার্ভ থেকে আস্তে আস্তে চলে যাবে। সামনের দিকে আরো অনিশ্চিত ভবিষ্যত আসতে পারে।

সরকারের একের পর এক মেগা প্রকল্প গ্রহণের সমালোচনা করে জি এম কাদের বলেন, একসাথে পাঁচটা দশটা প্রকল্প হাতে নেওয়ার দরকার ছিল না। আমরা আস্তে আস্তে একটা একটা করে করতে পারতাম। যাতে করে আমরা সহনীয় অবস্থায় থাকতে পারতাম। এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হতে বাংলাদেশের একটি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশের জনগণকে অতিদরিদ্র, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত তিন ভাগে ভাগ করে সরকারকে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার জন্য আহ্বান জানান। টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগকে সরকারের ‘দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।