| |
               

মূল পাতা জাতীয় স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশ তিনটি আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী : প্রধানমন্ত্রী


স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশ তিনটি আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী : প্রধানমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     23 March, 2022     05:39 PM    


বাংলাদেশ ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার ৩টি দেশের মধ্যে নতুন ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতার মধ্যমে কৌশলগত স্তরে সম্পর্ক জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রগুলোতে কৌশলগত যোগাযোগের লক্ষ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে উভয়পক্ষেই সহযোগিতার নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বিগত ৫০ বছর ধরে স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশ তিনটি আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সমর্থনে এই তিনটি স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনে তাদের সাহায্য ও সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন তিনি।

আজ (২৩ মার্চ) বুধবার নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এস্পেন রিক্টার-ভেনসেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসন ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্ড্রা বার্গ ভন লিন্ডে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের সাথে স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশ তিনটির কূটনৈতিক সম্পর্কে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূতগণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে যান। এ সময় কূটনীতিকগণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অব্যহত সহয়তা প্রদানের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর কিভাবে এ দেশের গণতন্ত্র খর্ব করা হয়েছিল- সে ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করে তিনি বলেন, সামরিক শাসকরা গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করেন। সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে- গ্রাম-কেন্দ্রিক উন্নয়ন ও সকলের কাছে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেয়া।

কূটনৈতিকবৃন্দ বাংলাদেশ ও স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে তারা বলেন, তাদের দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তারা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সামাজিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। কূটনৈতিকগণ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাড়ি করে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।জবাবে, শেখ হাসিনা বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে বাড়ি উপহার দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশে গ্রামীণফোনকে অপারেট করতে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময়ে তিনি টেলিযোগাযোগকে বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দেন। আর এর ফলে এখন সাধারণ মানুষও এই সেবা পাচ্ছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।