অগ্নিনিরাপত্তা বাড়াতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন : ফায়ার ডিজি

ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সকে জনবল ও আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে সমৃদ্ধ করায় বর্তমান সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেছেন, দেশে অগ্নিনিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সরকারের পক্ষে মূল কাজ করে থাকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। তবে এর জন্য সবার সমন্বিত অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সব সংস্থা নিজ নিজ জায়গা থেকে এ বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক এবং কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করলে সামগ্রিকভাবে অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার হবে।

আজ (১৬ মার্চ) বুধবার ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অংশীজনদের অংশগ্রহণে (বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের) আয়োজিত সভায় এ কথা বলেন তিনি। অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে  বুধবার বেলা ১১টায় অংশীজনের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া এ সভায় সূচনা বক্তব্য দেন অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্ণেল জিল্লুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ওয়াসা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরসহ মোট ১৮টি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মজীবনের স্মৃতিচারণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (শৃঙ্খলা-১ ও ২ শাখা) আফরোজা আক্তার রিবা  জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার থাকার সময় তিনি সবাইকে ফায়ার সার্ভিসের মতো ত্বড়িৎ সাড়া দেওয়ার পরামর্শ দিতেন। সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এ ধরনের আয়োজনের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে সুরক্ষা সেবা বিভাগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী অংশীজনেরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বর্তমান সেবাকাজের প্রশংসা করে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। তারা নিয়মিত বিরতিতে এ ধরনের সভা আয়োজন এবং সব সেক্টরের প্রতিনিধিদের পর্যায়ক্রমে সভায় ডাকার অনুরোধ জানান।

তারা দেশের অগ্নিনিরাপত্তা বৃদ্ধিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্রমকে আরও গণমুখী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, শিক্ষা কারিকুলামে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণ, গণসংযোগ-মহড়া-প্রশিক্ষণ ও পরিদর্শন নিয়মিতভাবে সম্পন্ন করা, সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম আরও জোরদার করা, অগ্নিনিরাপত্তা আইন ভঙ্গকারীদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও মনিটরিং জোরদার করা।