| |
               

মূল পাতা জাতীয় দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ঋণ সহায়তা নেয়া হবে : এলজিআরডি মন্ত্রী


দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ঋণ সহায়তা নেয়া হবে : এলজিআরডি মন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     15 March, 2022     06:47 PM    


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের স্বার্থ সুনিশ্চিত করেই বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক ঋণ সহায়তা দেওয়া প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করা হবে। বিশ্বব্যাংকসহ যে সকল আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে, সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দেশের স্বার্থ রক্ষা করে যেটা লাভজনক এবং কল্যাণকর হবে সেই অর্থ গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন ‘আমার গ্রাম আমার শহর’সহ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের নেয়া বেশ কয়েকটি প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৫ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

আজ (১৫ মার্চ) মঙ্গলবার এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় বিভাগের পরিচালক (অবকাঠামো) গোয়ানজি চেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকসহ অনেক আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের উন্নয়নে অর্থায়ন করে থাকে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ঋণ খেলাপি হয়নি। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় নিজস্ব অর্থায়নে তা করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। আর সেখানে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করে পদ্মাসেতুসহ কানেক্টিং রাস্তাও নির্মাণ করেছি। পাশাপাশি আশেপাশের জেলাগুলোকেও কানেক্টিভিটির আওতায় আনা হয়েছে। এ কারণে স্বাভাবিকভাবে বিশ্বব্যাংকসহ সকলের কাছে আমাদেও গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। সেজন্য আন্তর্জাতিক ব্যাংকসহ অন্যান্য ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।

তিনি বলেন, আমাদের বেশ কিছু চলমান প্রকল্প আছে। নতুন আরো কিছু প্রকল্প নিতে হবে। আমরা যত টাকা চাই এবং সে অনুযায়ী যদি প্রকল্প ব্যয় করি, তাহলে তারা অর্থায়ন করতে রাজী আছে। আমরা যাচাই বাছাই করছি, এডিবি থেকে নাকি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক অথবা জাইকা থেকে নেবো। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে যেখানে থেকে সুবিধা হয়, আমরা সেই প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সহায়তা নেব। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকও আমাদের দেশে অর্থায়ন করে থাকে। যেসব প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়া হয়, সেটা কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশে যে আয় হয়, জাতীয় অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের প্রেক্ষিতে আমরা আবার তাদের সে ঋণ পরিশোধ করে থাকি।

তিনি আরো জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ দর্শন বাস্তবায়ন আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি ছিল। এই দর্শনের মাধ্যমে শহরের সকল নাগরিক সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়ার অঙ্গিকার করেছে সরকার। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী গ্রামে যোগাযোগ ও বাজার অবকাঠামো, আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা, মানসম্মত শিক্ষা, সুপেয় পানি, তথ্য প্রযুক্তি সুবিধা ও দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, উন্নত পয়:নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কমিউনিটি স্পেস ও বিনোদনের ব্যবস্থা, ব্যাংকিং সুবিধা, গ্রামীণ কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কৃষি আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সব সুবিধা রাখা হবে। আমাদের গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, ব্রিজ, রাস্তাগুলোকে আরো টেকসইভাবে নির্মাণ করার জন্য নতুন বেশ কয়েকটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এ সব প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করতে আগ্রহী হয়েছে। গ্রামের সব জায়গায় নিরাপদ স্যানিটেশন ও সুপেয় পানি পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রেও সহযোগিতার জন্য প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।