| |
               

মূল পাতা জাতীয় বিট পুলিশিংয়ের ফলে মামলা কমে গেছে : আইজিপি


বিট পুলিশিংয়ের ফলে মামলা কমে গেছে : আইজিপি


রহমত ডেস্ক     15 March, 2022     07:15 PM    


বিট পুলিশিংয়ের সফলতার কথা তুলে ধরে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ-আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলছেন, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশি সেবা গ্রামে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দেশকে ৬ হাজার ৯১২টি বিটে ভাগ করে বিট পুলিশিং চালু করা হয়েছে। বিট পুলিশিংয়ের ফলে ২০ থেকে ২৫ হাজার মামলা কমে গেছে।

আজ (১৫ মার্চ) মঙ্গলবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশ নির্মিত প্রথম গ্রাফিক নভেল ‘দুর্জয়ের ডায়েরি’ এবং অ্যানিমেটেড ফিল্ম সিরিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এম খুরশীদ হোসেন। পুলিশের অতিরিক্ত আইজিগণ, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সকল মেট্রোপলিটন কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। এরআগে আইজিপি অন্যান্য অতিথিদের সাথে নিয়ে দুর্জয়ের ডায়েরির মোড়ক উম্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে দুর্জয়ের ডায়েরির গল্পের ওপর ভিত্তি করে অ্যানিমেটেড ফিল্ম প্রদর্শিত হয়।

নিরাপত্তাকে অক্সিজেনের সাথে তুলনা করে আইজিপি বলেন, নিরাপত্তা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। নিরাপত্তা দেয়া হলে গ্রাম হবে শহর। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ পরিচালনাকালে এমন কোন দিক নেই যা নিয়ে তিনি কাজ করেননি। বঙ্গবন্ধু প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে থানা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন স্বাধীনতা পরবর্তী পুলিশ কলোনিয়াল পুলিশ হবে না, পুলিশ হবে জন ও গণবান্ধব। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, প্রতিটি গ্রাম হবে শহর। গ্রামেই মানুষ শহরের সুবিধা পাবেন।

‘দুর্জয়ের ডায়েরি’র প্রাসঙ্গিকতা উল্লখ করে আইজিপি বলেন, গ্রাফিক্স নভেলের মাধ্যম খুব দ্রুত জনগণের কাছে পৌঁছানো যায়। কার্টুন চরিত্র ‘মীনা’ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। দুর্জয়ের ডায়েরিতে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে একদিকে জনগণ বিট পুলিশিং সেবা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আবার বিট পুলিশিং কর্মকর্তারাও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত হবেন।এতে বিভিন্ন ঘটনা, সমস্যা, তথ্য, এজেন্ডাভিত্তিক সিরিজের প্রথম খন্ড বের করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ ধরনের আরও সিরিজ বের করা হবে।

উল্লেখ্য, অ্যানিমেটেড ক্যারেক্টার দুর্জয় ‘দুর্জয়ের ডায়েরির’ মূল চরিত্র। পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর ইফতেখার আহমেদ দুর্জয় একজন বিট পুলিশ কর্মকর্তা। তার সহকর্মী সহকারি সাব ইন্সপেক্টর নাজনীন নাহার শাপলা। প্রতিদিন দূরবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ নানা সমস্যা নিয়ে আসেন দুর্জয়ের কাছে। তিনি উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী লিখে রাখেন তার ডায়েরিতে। সহকর্মীদের নিয়ে মানুষের সমস্যার সমাধান করছেন। বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে এভাবেই জনগণের মাঝে নিরন্তর পুলিশি সেবা পৌঁছানো হচ্ছে। বিট পুলিশিংকে উপজীব্য করে পুলিশের মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড পাবলিসিটি উইংয়ের এধাইজি মো. কামরুজ্জামান সম্পাদিত গ্রাফিক নভেল ‘দুর্জয়ের ডায়েরি’ বইয়ে ‘ছিনতাই নির্মূলে বিট পুলিশ’, ‘বখাটেদের তথ্য দিলেই প্রতিরোধ করবে পুলিশ’, ‘মাদক বিক্রেতার তথ্য দিলে মাদকমুক্ত সমাজ হবে’, ‘চুরি প্রতিরোধে পাশে আছে বিট পুলিশ’, ‘সামাজিক উপদ্রবের শিকার হলে প্রতিকার দেবে বিট পুলিশ’, ‘হার মানবো না চাঁদাবাজদের কাছে বিট পুলিশ পাশেই আছে’, ‘উঠান বৈঠক’, ‘বিদেশে থেকেও বিট পুলিশকে পাশে পাবেন’, ‘কেউ কোথাও হারিয়ে গেলে সহায়তা করবে পুলিশ’ এবং ‘নাশকতা রোধে সদা সতর্ক বিট পুলিশ’ এ দশটি গল্প স্থান পেয়েছে।