| |
               

মূল পাতা জাতীয় নির্বাচন কমিশন বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মতিবিনিময় করবে


নির্বাচন কমিশন বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মতিবিনিময় করবে


রহমত ডেস্ক     07 March, 2022     11:40 PM    


রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আগে দেশের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন-ইসি। এজন্য আগামী ১৩ মার্চ সম্ভাব্য তারিখ রেখে প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে ইসি। সোমবার (৭ মার্চ) ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানান, আগামী সপ্তাহে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় হবে। এক্ষেত্রে ১৩ মার্চ সম্ভাব্য তারিখ। মূলত, নির্বাচন নিয়ে কাজ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সঙ্গেই মতবিনিময় হবে। তাদের পরামর্শ নিয়ে স্টেকহোল্ডারসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসবে কমিশন।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন তারা শপথ নিয়ে প্রথম অফিস করেন ২৮ ফেব্রুয়ারি। তবে এখনো পুরোদমে নির্বাচনকেন্দ্রিক কাজ শুরু করেনি কমিশন। এরইমধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ভোটার দিবস উদযাপন ও নানা আনুষ্ঠানিকতা করেছেন নতুন কমিশন।  গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দেন।

এতে অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে চার কমিশনার পদে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়।  ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে নাম নেওয়া ছাড়াও বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠক করে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি সভায় ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে কমিটি। এ পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া ১৩ জন সিইসির মধ্যে সাতজনই বিচারপতি। বাকি ছয়জন সাবেক আমলা। নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নিয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পরবর্তী পাঁচ বছর দেশের জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচন পরিচালনা করে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়।