| |
               

মূল পাতা জাতীয় কাদিয়ানীদের ‘জলসা’ বন্ধ না করলে পঞ্চগড় অভিমুখে লংমার্চ


কাদিয়ানীদের ‘জলসা’ বন্ধ না করলে পঞ্চগড় অভিমুখে লংমার্চ


রহমত ডেস্ক     07 March, 2022     07:21 PM    


পঞ্চগড়ে অমুসলিম কাদিয়ানীদের ষড়যন্ত্রমূলক ‘ন্যাশনাল সালানা জলসা’ বন্ধের দাবিতে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের ষড়যন্ত্রমূলক সালানা জলসা বন্ধ না করা হলে পঞ্চগড় অভিমুখে লংমার্চ, দেশের প্রত্যেক জেলায় ডিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়াত মহাসমাবেশ ও পঞ্চগড়ে খতমে নবুওয়াত সম্মেলন। আজ (৭ মার্চ) সোমবার বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ মধুপুরী এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল হামিদ মধুপুরী বলেন, সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সহ বিভিন্ন জাতি ধর্মের মানুষ এদেশে একসাথে মিলেমিশে বসবাস করে। কিন্তু 'আহমদীয়া মুসলিম জামাত' নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায় মুহাম্মদ সা.কে সর্বশেষ নবী মানে না। তাদের অসংখ্য কুফুরী মতবাদ এর মধ্যে একটি মতবাদ হলো এই, 'মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী প্রতিশ্রুত মাসীহ, ইমাম মাহদী এবং প্রেরিত নবী ও রসূল' (নাউজুবিল্লাহ) (রুহানী খাযায়েন-খ:১৮ পৃ:২০৭, কালিমাতুল ফসল-১৫, লেখক: মির্জাপুত্র বশির আহমদ এম এ, আখবারে বদর আল:২ পৃ:৪৩) এসকল অসংখ্য কুফুরী মতবাদ প্রচার করে তারা মুসলমানদের ঈমান ধ্বংস করছে। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি পঞ্চগড়ের তেলিপাড়া আহমদনগরে তথাকথিত ‘ন্যাশনাল সালানা জলসা’র মাধ্যমে ইসলামের নামে কুফুরি মতাদর্শ বিস্তারের পাঁয়তারা করছে। ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে। এতে করে দেশের ৯০/- ভাগ মুসলিম জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে,যা দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি নষ্ট করে দিতে পারে। অতএব ষড়যন্ত্রমূলক এ জলসা অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ইসলামের নামে তাদের সকল প্রকাশনা প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করতে হবে, ইসলামী পরিভাষা ব্যবহার করা অমুসলিমদের জন্য সম্পূর্ণ অবৈধ। অতএব ইসলামের সকল পরিভাষা যেমন কালিমা, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, মসজিদ, আজান, ইকামত, নবী, মাহদী শব্দ ইত্যাদি তাদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।

খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ও মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরীর পরিচালনায়  সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বেফাকুল মাদারিসিলি আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, বেফাকুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী, খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা রশিদ আহমদ, আমরা ঢাকাবাসীর সেক্রেটারী জামাল নাসের চৌধুরী, সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ পরিষদ পঞ্চগড় সেক্রেটারি ক্বারী মোঃ আব্দুল্লাহ, দায়ী মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল মজিদ, তাহরিকে খতমে নবুওয়াতের মহাসচিব মাওলানা আরিফুর রহমান, মাওলানা আলী আকবর সাভার, মাওলানা নুরুল হক হামিদী, মুফতি মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মাওলানা শাহেদ জহেরী,মাওলানা ইউনুছ কাসেমী, হাফেজ মাওলানা হারুনুর রশিদ, মাওলানা আনোয়ার হামিদী, মাওলানা আবু ইউসুফ ও মুফতি আব্দুল্লাহ ফিরোজী প্রমুখ।