| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞার অর্থ হচ্ছে যুদ্ধ ঘোষণা: পুতিন


রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞার অর্থ হচ্ছে যুদ্ধ ঘোষণা: পুতিন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     06 March, 2022     09:18 PM    


রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ওই দেশটিতে রুশ ভাষীদের রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপা করে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞার অর্থ হচ্ছে যুদ্ধ ঘোষণা। পাশ্চাত্যের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান সংঘাতে ন্যাটো জোটের হাত রয়েছে ব্রিটেনের একজন মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, এ অবস্থায় আমাদের পরমাণু ইউনিটকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছি।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রাশিয়ার ওপর পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি এবং এটাকে মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলে ধরে নেয়া হবে বলে পুতিন যে ঘোষণা দিয়েছেন তা আসলে পাশ্চাত্যের প্রতি মস্কোর আল্টিমেটাম হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যাপক সামরিক অভিযানের পর মার্কিন নেতৃত্বে পাশ্চাত্য বিশ্ব এ পরিস্থিতিকে রাশিয়াকে দুর্বল করার জন্য বিরাট সুযোগ বলে মনে করছে। এ কারণে পাশ্চাত্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক সংঘাতে না গেলেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাশিয়ার অর্থনীতি, বাণিজ্য ও ব্যাংকিং কার্যক্রম থেকে শুরু করে দেশটির প্রচার মাধ্যম, খেলাধুলা, সফর ও পণ্যপরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পাশ্চাত্য জোট।

তবে পাশ্চাত্য বিশেষ করে আমেরিকা ইউরোপসহ আরো অনেক দেশের জ্বালানি চাহিদার কথা বিবেচনা করে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। এমনকি আরো অনেক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কিছু বলা না হলেও সেসবও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট এক নিবন্ধে লিখেছে, আমেরিকা ও তার মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তারা ইরানের তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। কেননা এ ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিলে খোদ পাশ্চাত্যের অনেক তেল ব্যবসায়ী আত্মঘাতী নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে। তবে এরই মধ্যে রাশিয়ার বাণিজ্য জাহাজ বিভিন্ন দেশের ঘাটিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অবশ্য বর্তমান পরিস্থিতিতে ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়ার তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলবা বলেছেন, ফ্রান্সের শেল তেল কোম্পানির বিরুদ্ধে গোপনে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং কোম্পানিটি ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।

এ অবস্থায় রাশিয়া এর আগে পাশ্চাত্যের আচরণকে দস্যু-সুলভ আচরণ বলে অভিহিত করে বলেছিল, বিশ্বটা এতো বড় যে আমেরিকা ও  ইউরোপ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়ার মতো একটি বৃহৎ দেশকে কোণঠাসা করতে পারবে না। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পাশ্চাত্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক দস্যুপনা করছে এবং মস্কো তাদের এই আচরণের জবাব দেবে। তবে  এই জবাবের ধরন কেমন হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু উল্লেখ করেননি। তিনি আরো বলেন, আমেরিকা যদি রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় তাহলে জ্বালানির বাজারে এর বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এ অবস্থায় কোনো কোনো বিশ্লেষক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যদি অর্থনৈতিক যুদ্ধ কঠোর করা হয় এমনকি দেশটির জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তাহলে মস্কো কঠোর  প্রতিক্রিয়া দেখাতে  পারে।      

-পার্সটুডে