| |
               

মূল পাতা সারাদেশ ৫০ বছরেও বিএনপির ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই : হানিফ


৫০ বছরেও বিএনপির ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই : হানিফ


রহমত ডেস্ক     05 March, 2022     04:03 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি নানা ধরনের মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তাদের লক্ষ্য একটাই- দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ করা। কারণ, তারা জানে উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা যদি অব্যাহত থাকে, এ দেশের জনগণ সবসময় শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল থাকবে। বিএনপি’র আগামী ৫০ বছরেও রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে তারা হতাশ। আর হতাশ হয়েই তারা নানা ধরনের মিথ্যাচার করে রাস্তায় নামছে।

আজ (৫ মার্চ) শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি’র সভাপতিত্বে ও  সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয় সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও এবাদুল করিম বুলবুল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে হানিফ বলেন, বিএনপি’র মিথ্যাচারে জনগণ যেন বিভ্রান্ত না হয়, সে জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের কাছে আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা এবং চিত্র গুলো তুলে ধরতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে-এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই, সেটি প্রচার করতে হবে। বিএনপি বিরোধী দলে থাকাবস্থায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে জনগণের ওপর বারবার আক্রমণ করেছে। যার ফলে তারা জন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই জন বিচ্ছিন্নতার কারণেই তারা দিশেহারা হয়ে সকালে এক কথা আবার বিকেলে আরেক কথা বলে। বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করার যে কর্মকান্ড চালাচ্ছে-সে সম্পর্কে সরকার সজাগ আছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী বিএনপি’র যে কোনো অশুভ তৎপরতাকে রুখে দেয়ার জন্য যথেষ্ঠ।

তিনি আরো বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গঠন করা হয়েছে। বিএনপি’র এখন নতুন ইস্যু হল নির্বাচন কমিশন। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের প্রধানমন্ত্রী তালিকা দিয়েছে আর রাষ্ট্রপতি গ্যাজেট করে পাঠিয়ে দিয়েছে। এটি ছিল তাদের নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে নির্বাচন কমিশন গঠনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ পন্থা অবলম্বন করেছেন। রাষ্ট্রপতি সব দলের সাথে সংলাপের মাধ্যমে পরামর্শ করে তাদের দেওয়া নামের ভিত্তিতে সার্চ কমিটি গঠন করে। সার্চ কমিটির নাম গুলো যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এটাই ছিল গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সবচেয়ে উত্তম পন্থা।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর