রহমত ডেস্ক 27 February, 2022 05:56 PM
নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং ৪ জন নির্বাচন কমিশনার-ইসি শপথ গ্রহণ করেছেন। প্রথমে সিইসিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এরপর বাকি চার কমিশনারকেও শপথবাক্য পাঠ করান তিনি। আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) রবিবার বিকাল সাড়ে চারটায় বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনায় এসময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ, সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, নির্বাচন কমিশন-ইসির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান। শনিবার সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। তাদের নিয়োগের ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপণ জারি করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর এবারই আইন অনুযায়ী প্রথম ইসি গঠিত হলো। এ জন্য গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে এর প্রধান করা হয়। যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাছাই করতে গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করে সার্চ কমিটি। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু নাম প্রস্তাব করেন। এছাড়া সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সবার কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল নাম পাঠায়। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম পাঠান। তবে বিএনপি এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি। সার্চ কমিটির কাছে মোট ৩২২ জনের নাম জমা পড়ে। এরপর তারা কয়েকটি বৈঠক করে ওই ৩২২ জন থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ১০ জনের এ তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। ওই ১০ জন থেকে ৫ জনকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন রাষ্ট্রপতি।