| |
               

মূল পাতা স্বাস্থ্য ‘রাজধানীর করোনা আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত’


‘রাজধানীর করোনা আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত’


রহমত ডেস্ক     27 February, 2022     07:33 PM    


রাজধানীতে বৈশ্বিক মহামারী মরণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত্র রোগীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ-আইসিডিডিআর বি।

আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) রবিবার বিকালে আইসিডিডিআর,বির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির ভাইরোলজি ল্যাবে রাজধানীর ৪৮ জন করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষার পর তারা এই ফলাফল পেয়েছে।  ৪৮টি নমুনার মধ্যে ৪৭টি নমুনাতেই ওমিক্রনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। বাকি একজনের নমুনায় পাওয়া গেছে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট, শতকরা হিসেবে যা ২ শতাংশ। করোনা রোগীদের মধ্যে ওমিক্রনের বিএ.২  উপধরনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ ভাগ রোগী, বাকি ১৭ ভাগ রোগী বিএ.১ উপধরনে আক্রান্ত। এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি (আইসিডিডিআর,বি) জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছিল, রাজধানী ঢাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯২ শতাংশই ওমিক্রনে সংক্রমিত। বাকি ৮ শতাংশ ডেল্টায় আক্রান্ত।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ে ফেরত নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্যের শরীরে করোনার আফ্রিকান ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এরপর ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ওমিক্রনের বিস্তার শুরু হয়। গত জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। এক পর্যায়ে ১২ দিনে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা এক লাখ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে সংক্রমণ বেশ কমে এসেছে। এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউ এক গবেষণায় জানায়, ঢাকায় করোনা রোগীদের মধ্যে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ.১, বিএ.১.১, বিএ.২ পরিলক্ষিত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিএ.২ বেশি সংক্রামক। ডব্লিউএইচও বলছে, করোনার ওমিক্রন ধরনের কারণে সংক্রমণের মাত্রা মৃদু অথবা গুরুতর দুটিই হতে পারে। এমনকি ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এমন অবস্থায় বিশ্ববাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার ওমিক্রন ধরন থেকে সুরক্ষিত থাকতে ছয়টি পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও। এগুলো হলো-টিকা নেওয়া, ভিড় এড়িয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, ভালোভাবে মাস্ক পরা, আবদ্ধ জনসমাগম স্থলগুলোতে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা, ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা। ওমিক্রন ধরনকে মৃদু ভাবার সুযোগ নেই বলে আবারও সতর্ক করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এটি ডেলটার চেয়ে কম গুরুতর। কিন্তু আমরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীকেও হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখেছি। ইতোমধ্যেই আমরা বলেছি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের মৃত্যুও হচ্ছে। এটি সাধারণ ঠাণ্ডার সমস্যা নয়, এটি ইনফ্লুয়েঞ্জাও নয়। সত্যিকার অর্থে আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে।