| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে : মেজর হাফিজ


বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে : মেজর হাফিজ


রহমত ডেস্ক     26 February, 2022     02:54 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর উত্তম বলেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিশেষ ব্যক্তি, আন্তর্জাতিক মহল ও দেশের একটি রাজনৈতিক দল জড়িত রয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের নায়করা হত্যাকাণ্ডের আগে পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে তাদের বাড়িতে গিয়ে সভা করেছে। পরদিন আবার তাদেরই বিদ্রোহ দমাতে পাঠানো হয়েছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে নৃশংস ঘটনা। বিএনপি ক্ষমতায় এলে একদিন এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। উন্নয়নের ধোঁয়া তুললেও জনগণের কোনো উন্নয়ন হয়নি, শুধু উন্নয়ন আওয়ামী লীগের হচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে। কেন ব্যর্থ হয়েছে তা অনুসন্ধান করা দরকার। তবে এতে জনগণের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আবার আমাদের রাজপথে নামতে হবে। 

আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত পিলখানা ট্র্যাজেডিতে নিহতদের মাগফেরাত কামনায় এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যেসব সেনা সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, তারা অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বর্ডারে দায়িত্ব পালন করেছে। আপনারা জানেন বড়াইগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় জনগণের জানমাল রক্ষাসহ বীরত্বের সঙ্গে ভূমিকা পালন করেছে। তাদের অত্যাচার অবিচারের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে আমাদের এ বিডিআর বাহিনী। এজন্যই এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দেওয়া। তাদের মনোবল ভেঙে দেওয়া। এর সঙ্গে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের অনেক রাজনৈতিক নেতা জড়িত ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, একটি দেশের নাগরিকরা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজের দেশের সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দেবেন, এটি কল্পনা বহির্ভূত ছিল। এর মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে অকার্যকর করা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি আইন দ্বারা পরিচালিত। আইনে স্পষ্ট বলা আছে যদি বাহিনীর কোথাও বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে তাহলে বাহিনীর সবাই বিদ্রোহ দমনের চেষ্টা করবেন। যদি কেউ তা না করেন তাহলে ওই বিদ্রোহের সঙ্গে তারাও জড়িত বলে প্রতীয়মান হবে। এর জন্য সরকার প্রধান বা অন্য কারও সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য কুলাঙ্গার মঈন ইউ আহমেদ সেদিন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে বসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সে দিন তাকে পাশের একটি রুমে বসিয়ে রেখেছেন। কথাও বলেননি।