| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ‘খালেদা জিয়ার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গেছে’


‘খালেদা জিয়ার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গেছে’


রহমত ডেস্ক     23 February, 2022     04:13 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, আমরা পরিষ্কার বলতে চাই যারা সার্চ কমিটিতে নাম দিয়েছেন এবং নির্বাচন কমিশনের যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন ইতিহাসের পাতায় আপনাদের নাম কালো তালিকা হয়ে থাকবে। যারা পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার হতে চাচ্ছেন আমরা বারবার বলেছি আমরা সবাইকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু সেই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আপনারা কোনো কাজ করতে পারবেন না। খালেদা জিয়ার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গেছে। আপনারা খালেদা জিয়ার কাছাকাছিও যেতে পারবেন না।

আজ (২৩ ফেব্রুয়ারি) বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃর্শত মুক্তি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক কমিটির সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, মোহাম্মদপুর থানার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন টুয়েল, কৃষক দলের সাবেক নেতা মিয়া মোঃ আনোয়ার, প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও সংগঠনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

আব্দুস সালাম বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যদি থাকে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চেয়ারে বহাল থাকেন, এই সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকেন, সকল মন্ত্রী থাকেন তাহলে আপনারা নির্বাচন কমিশনে বসে কি করবেন? নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবেন? কোনোভাবে সম্ভব না। তাই এখনো সময় আছে। আমরা চাই, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আল্লাহর ওয়াস্তে কমিশনার হিসেবে যাদের নাম ঘোষণা করা হবে স্বেচ্ছায় আপনারা নাম প্রত্যাহার করবেন। যদি দেশকে ভালোবাসেন দেশের মানুষকে ভালোবাসেন। আজকে কথায় কথায় বিএনপির কথা বলেন, খালেদা জিয়ার কথা বলেন। খালেদা জিয়ার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গেছে। আপনারা খালেদা জিয়ার কাছাকাছিও যেতে পারবেন না।

তিনি বলেন, আপনারা ৯৬ -এর ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা বলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও সেই সময় বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য তার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তখন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, নির্বাচন হয়ে গিয়েছিল, মন্ত্রিপরিষদ গঠন হয়েছিল। যদি আপনাদের মত খালেদা জিয়া তখন ক্ষমতা না ছাড়তেন তাহলে কি করতেন? আপনারা যেভাবে র‌্যাব-পুলিশ দিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আছেন খালেদা জিয়াও সেভাবে থাকতে পারতেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া প্রামাণ করেছেন তিনি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন না। তিনি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেন। এই কারণেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন। আপনারা তো ছাড়তে পারলেন না। ২০১৪ সালে আপনারা তো বলেছিলেন দরকার হয় আরেকটা নির্বাচন দিব। কই আপনারা তো ক্ষমতার লোভ সামলাতে পারেননি।

তিনি আরো বলেন, সরকারের এক ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলেন। সেটাকে এস্টাবলিশ করার জন্য সবাই মিথ্যা কথা বলেন এই হলো দেশের বর্তমান অবস্থা। আমরা জানি এই অবস্থা বেশিদিন চলতে পারে না, চলতে দেয়া যায় না। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসা সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। একটাই কারণ, বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা সরকার ভয় পায়। বেগম খালেদা জিয়া বাইরে আসলে লাখ লাখ মানুষ বের হলে তো তাদের গদি শেষ। তাই সরকার যত কিছুই করুক না কেনো এইবারের নির্বাচন আর পার হতে পারবে না। মানুষকে কিছুদিনের জন্য বোকা বানানো যায়, দীর্ঘদিন বোকা বানানো যায় না।