| |
               

মূল পাতা জাতীয় স্কাউটস দক্ষ নাগরিক গড়তে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে : রাষ্ট্রপতি


স্কাউটস দক্ষ নাগরিক গড়তে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে : রাষ্ট্রপতি


রহমত ডেস্ক     21 February, 2022     06:44 PM    


রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ স্কাউটস তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতির মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ স্কাউটসের উদ্যোগে বিশ্ব স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট স্টিফেনশন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘বিপি দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে এ উপলক্ষে স্কাউটস সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি। ‘বিপি দিবসের কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন তিনি।

আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) সোমবার আগামীকাল বাংলাদেশ স্কাউটসের আয়োজনে বিপি দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, রবার্ট স্টিফেনশন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল ১৮৫৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। শিশু থেকে যুবক বয়সী ছেলে-মেয়েদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯০৭ সালে তিনি যে স্বেচ্ছাসেবামূলক আন্দোলন শুরু করেছিলেন সময়ের পরিক্রমায় বিশ্বব্যাপী তা আজ ব্যাপক সমাদৃত। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জারিকৃত রাষ্ট্রপতির ১১১নং অধ্যাদেশ বলে ১৯৭২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ স্কাউটস সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে। তাঁর অণুপ্রেরণায় ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ স্কাউটস বিশ্ব স্কাউট সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। শুরু থেকেই স্কাউটস সদস্যরা বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্কাউট আন্দোলন শিশু-কিশোরদের চারিত্রিক গুণাবলীর বিকাশ ও লেখাপড়ার পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করার মানসিকতা তৈরিতে অনন্য ভূমিকা রাখছে। সূচনালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ স্কাউটসের সদস্যগণ বিভিন্ন জনসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে সকলের আস্থা ও সুনাম অর্জন করেছে। স্কাউটরা নিয়মিত সমাজসেবামূলক কাজের পাশাপাশি প্রাকৃতিক কিংবা মানবসৃষ্ট দুর্যোগ প্রতিরোধে স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আর্তমানবতার সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশ স্কাউটস তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতির মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে আরো ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।