রহমত ডেস্ক 17 February, 2022 04:36 PM
সরকার কালো আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করছে বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক নেতারা। এর অংশ হিসেবে সাংবাদিক আজহার মাহমুদকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন। সরকার সাংবাদিকদের দমাতে বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে। আজহার মাহমুদ ছাড়াও সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। একইভাবে সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সাংবাদিক নেতারা আজহার মাহমুদসহ কারাবন্দি সাংবাদিকদের অবিলম্বে মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের জোর দাবি জানান।
আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজহার মাহমুদের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ডিইউজে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় সাংবাদিক আজহার মাহমুদ রংপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাকে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বর্তমান মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, বিএফইউজের মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমান, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রুহুল আমিন গাজীকে যে আইনে গ্রেফতার করে বন্দি করে রাখা হয়েছে ওই আইনের মামলায় অনেক আসামি জামিন পেয়েছেন। অথচ অন্যায়ভাবে রুহুল আমিন গাজীকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। তার অপরাধ ছিল তিনি সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বলতেন। এছাড়া আরেক সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে অসংখ্য মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সপ্তাহে চারদিন তাকে আদালতের বারান্দায় দৌড়াতে হয়। আইনমন্ত্রী বলেছিলেন ডিজিটাল আইনে সাংবাদিকের গ্রেফতার করা হবে না। তারপরও একের পর এক সাংবাদিক গ্রেফতার করা হচ্ছে। এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল যে মামলা হওয়ার পর, তদন্ত করে দেখার পর আসামিকে গ্রেফতার করতে হবে। কিন্তু সেটা উপেক্ষিত।
আজহার মাহমুদের বড় ভাই তার মুক্তি দাবি করে বলেন, আজহার নির্ভীক, সাহসিকতা ও অসত্য প্রকাশের সাংবাদিকতা করে বলেই আইনের ভয় পাননি, আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।