| |
               

মূল পাতা সারাদেশ টানা ৪৫ দিন জামাতে নামাজ পড়ে ৪ কিশোর সাইকেল পেলো


টানা ৪৫ দিন জামাতে নামাজ পড়ে ৪ কিশোর সাইকেল পেলো


রহমত ডেস্ক     17 February, 2022     03:59 PM    


শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন ইতালি প্রবাসী এক যুবক। আর সেই ঘোষণায় উৎসাহিত হয়ে টানা ৪৫ দিন জামাতে নামাজ পড়ে শরীয়তপুরের ডামুড্যার চার কিশোর পুরস্কার জিতে নিয়েছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কুতুবপুর জামে মসজিদে সমাজসেবক ও ইতালি প্রবাসী মো. ফারুক বেপারির উদ্যোগে এ সাইকেল দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মসজিদের খতিব মুফতি মো. খবির উদ্দিন, সমাজসেবক মোহাম্মদ মাদবর, আব্দুল হাই বেপারি, নুরুল ইসলাম বাবুল বেপারি, ফারুক মাদবর, রুহুল আমিন বেপারি, দেলোয়ার সরদার, রসিদ শেখ, আব্দুল আলী বেপারি প্রমুখ।

স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েক দিন আগে মো. ফারুক বেপারি মসজিদে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ১৫ বছরের কম বয়সের কিশোররা যদি একটানা ৪৫ দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে, তা হলে তাদের একটি করে বাইসাইকেল পুরস্কার দেওয়া হবে। টানা ৪৫ দিন নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়েছে, এমন চারজনের হাতে বুধবার সেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।  শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করে মসজিদমুখী করার লক্ষ্যে আয়োজিত এমন উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। তরুণ সমাজসেবক প্রবাসী মো. ফারুক বেপারির এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে।

পশ্চিম কুতুবপুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি মো. খবির উদ্দিন বলেন, ঘোষণার পর থেকে অনেক কিশোর মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা শুরু করে। তারা ঠিকমতো নামাজ আদায় করছে কিনা তা হিসার রাখার জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর হাজিরা নেওয়া হতো। যদি কেউ কোনো ওয়াক্তে অনুপস্থিত থাকত তখন তার গণনা বন্ধ করে দেওয়া হতো। তবে সে চাইলে তার নাম আবার লিখিয়ে নতুন করে নামাজের দিন গণনা শুরু করতে পারত। এভাবে নিয়মিত যাচাই-বাছাই ও হাজিরার ভিত্তিতে সর্বশেষ চারজন বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা চলাকালীন তাদের শুধু নামাজই পড়ানো হয়নি। বরং সঠিকভাবে নামাজ শিক্ষা ও নামাজ সম্পর্কে জরুরি মাসায়ালাও শেখানো হয়, সেই সঙ্গে তালিম-তরবিয়ত এবং নামাজের প্রতি মানুষকে আহ্বানের পাশাপাশি দ্বীনি ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।

মো. ফারুক বেপারি জানান, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমি প্রায়ই দেখি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে কিশোরদের মসজিদমুখী করতে এমন উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। সে থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছি। বেশ কয়েক দিন আগে পত্রিকায় দেখি, ভারতেও এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হই এবং একদিন জুমাপূর্ব বয়ানে বিষয়টি উত্থাপন করি। আলহামদুলিল্লাহ উপস্থিত মুসল্লিরা একাত্মতা প্রকাশ করেন। পরে ১৫ বছরের কম বয়সি কিশোরদের মধ্যে একটানা ৪৫ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের মসজিদের তাকবিরে উলার সঙ্গে আদায় করার প্রতিযোগিতা ঘোষণা করি। ঘোষণার পর থেকে এলাকার অনেক কিশোর মসজিদে নিয়মিত জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় শুরু করে।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা শরীয়তপুর ডামুড্যা