রহমত ডেস্ক 08 February, 2022 07:38 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ব্রিটিশ আমল থেকে কোলকাতার পর চট্টগ্রামই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। সারাদেশে ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ চলছে। দেশ শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে। শিল্প খাতে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু টানেল থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মেট্রোরেল যেতে পারে। যেহেতু সেখানে শাটল চলাচল করে। নদীর ওপাড়ে কীভাবে মেট্রোরেল নিয়ে যাওয়া যায় এসব বিষয় মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা হবে। চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি এ বছরের মধ্যে শেষ হবে এবং আগামী বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন।
আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম নগরের পরিবহন মাস্টার প্ল্যানসহ মেট্রোরেলের সমীক্ষার জন্য প্রিলিমিনারি সার্ভে কাজ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা ও প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন সংস্থা কোইকা চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করছে। এ কাজে মোট ৭০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। এরমধ্যে কোইকো ৫১ কোটি টাকা ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ২০ কোটি টাকা দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে মেট্রোরেল স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন এবং সেটি বাস্তবায়নের জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। এর আগে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের উন্নয়ন তিনি নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। সেটি শুধু ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। আজকে চট্টগ্রামকে ঘিরে যেভাবে উন্নয়ন কর্মকা- হচ্ছে, মেট্রোরেল স্থাপনের জন্য যে ঘোষণা দিয়েছেন এটি স্পষ্ট যে তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। চট্টগ্রাম বন্দরের দ্বিগুণ সক্ষমতা নিয়ে বে-টার্মিনাল হচ্ছে, এটি একটা রিজিওনাল বন্দর হবে। এর পাশাপাশি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে, সব মিলিয়ে আগামী ১০ বছর চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকান্ড অনেক দ্রুত হবে। প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ দেখতে পান। আমরা অনেক কিছু দেখতে পাই না, কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছুই দেখতে পান। সে কারণে তিনি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পরে আমাদের দেশে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ছিল ৭ শতাংশ প্লাস। আজ কৃষি খাতের অবদান ১২ থেকে ১৩ শতাংশ। শিল্পখাতের অবদান ছিল ৬ থেকে ৭ শতাংশ। আর এখন শিল্প খাতের অবদান ৪০ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ দেশ শিল্পোন্নত হচ্ছে। একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে আমাদের শিল্পখাতের অবদান আরো বাড়বে। অর্থাৎ শিল্পোন্নত দেশে যা হয় সেই পরিস্থিতি দাঁড়াবে। চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনিও শুরু থেকে উদ্যোগী ছিলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো.আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল মালেক, যুগ্ম সচিব মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম শাহজাহান, কোইকা’র ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়াংকিন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চিাটগাং চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিন কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি জেং ইউল লি, প্রফেসর ইলজন চ্যাং, কোইকা’র প্রতিনিধি চ্যাউন কিম, জিং বো চুই, মো জেন কং, চট্টগ্রাম কোরিয়ান এসোসিয়েশন’র চেয়ারম্যান মি. জিনহুক পাইক।