আ’লীগ চরিত্রগতভাবে ফ্যাসিবাদী : মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ চরিত্রগতভাবে স্বৈরতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ চরিত্রগতভাবে একটি ফ্যাসিবাদী দল। যারা এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাদেরকে বাদ দিয়ে যারা নেতৃত্বে এসেছিলেন তাদের অন্তরে ডেমোক্রেসি ছিল না। তারাই ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই বাকশালের ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন-ইসি আইন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আজকে ৪৭ বছর পরে আবার বাকশাল প্রতিষ্ঠার যে নীল নকশা শুরু হয়েছে আমাদেরকে তা প্রতিহত করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে, বিএনপির নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে বাকশাল দিবস উপলক্ষে ‘২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫: বাকশাল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দলের জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ। এতে সারাদেশসহ বিভিন্ন দেশের দলের প্রবাসী নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাকশাল একটি গালিতে পরিণত হয়েছে। এই বাকশালের মধ্য দিয়ে সেদিন দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল, রাজনীতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল, স্বপ্নকে ধ্বংস করা হয়েছিল। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে তারা দেশ ও জাতিকে অন্ধকারের ভেতরে নিয়ে গিয়েছিল। এখন ঠিক একইভাবে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে লুটতরাজের অর্থনীতিতে পরিণত করেছে, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর হাতে দমন করছে। বিশেষ করে যারা স্বাধীন চেতা গণতান্ত্রিক মানুষ তাদেরকে হত্যা-গুমের মধ্য দিয়ে তাদেরকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে এবং প্রতিবাদের ভাষাকে বন্ধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন নির্বতনমূলক ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো আইন তৈরি করে যারা কথা বলতে চান তাদের কথা বলা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।