| |
               

মূল পাতা জাতীয় সিইসির ক্ষমা চাওয়া উচিত : সুজন


সিইসির ক্ষমা চাওয়া উচিত : সুজন


রহমত ডেস্ক     29 January, 2022     04:51 PM    


সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, মানহানিকর ও আপত্তিকর কথা বলার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি কে এম নূরুল হুদার ক্ষমা চাওয়া উচিত।  সিইসির বক্তব্যে কেবল আমার নয়, সুজনের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন, সবার মানহানি হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে মানহানি মামলা করব কি না, পরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

আজ (২৯ জানুয়ারি) শনিবার নির্বাচন কমিশনের দেওয়া কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিইসির দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ড. তোফায়েল আহম্মেদ, এম হাফিজউদ্দীন খান, ড. শাহদীন মালিক, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, দিলীপ কুমার সরকারসহ সুজনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমাক্রেসি-আরএফইডি আয়োজিত আরএফইডি টক উইথ কে এম নূরুল হুদা শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি।

সুজন সম্পাদক বলেন, দেশের মর্যাদাপূর্ণ একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদে বসে তাকে এমন মিথ্যাচার করতে দেখে আমরা হতবাক। তার এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদেই আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন। প্রথমত, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ড. বদিউল আলম মজুমদারের ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেনের কোনো সম্পর্ক নেই এবং কোনদিন ছিলও না। তিনি কমিশন থেকে কখনও কোনো কাজ নেননি, অসমাপ্ত রাখার তো কোনো প্রশ্নই আসে না। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের সময় হলফনামায় বর্ণিত প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ, প্রার্থীদের ভোটারদের মুখোমুখি অনুষ্ঠানের আয়োজনের কাজটি করার জন্য ড. শামসুল হুদা কমিশন ইউএনডিপির অর্থায়নে পরিচালিত এসইএমবি প্রকল্প থেকে সুজনকে ৯ লাখ ৫০ হাজার ৬০০ টাকা দেয়। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় একই ধরনের কাজের জন্য সুজনকে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়। অর্থাৎ দুটি নির্বাচনে সর্বমোট ১২ লাখ ৫০ হাজার ৬০০ টাকা সুজন নির্বাচন কমিশন থেকে পায়। অথচ ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে সিইসি কে এম নুরুল এক কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন তিনি।

কোন প্রক্রিয়ায় ড. শামসুল হুদা কমিশন সুজনকে কাজ দিয়েছিল— সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে সুজন সম্পাদক বলেন, এটি টেকনিক্যাল বিষয়। আমি টেকনিক্যাল পদ্ধতি জানি না। আদালতের রায় আছে যে, প্রার্থীদের হলফনামা তথ্য প্রচার করতে হবে। তখন তৎকালীন এটিএম শামসুল হুদা কমিশন এ কাজে আমাদের সহায়তা নিয়েছিল। আমরা জানি না; যেহেতু টেকনিক্যাল বিষয়, সেহেতু তারাই বলতে পারবেন কোন প্রক্রিয়ায় কাজ দিয়েছিলেন।  ইসির ক্ষমতা অনেক। রাতকে দিন আর দিনকে রাত করা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তারা সব কাজ করতে পারে। আদালতের রায় আছে- নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ উঠলে ইসি তদন্ত করতে পারে। তদন্তে সেই অভিযোগ প্রমাণ হলে নির্বাচন বাতিল করতে পারে। কিন্তু তারা কোনোটিই করেনি। দলগুলো আদালতে যায়নি বলে সিইসি অজুহাত দেখিয়েছেন। কিন্তু ৭০টির মতো মামলা হয়েছে। একটিরও শুনানি হয়নি। ব্যালট পেপার খুললে মধ্যরাতে ভোট হয়েছে প্রমাণ হতো। এছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার হাতে ব্যালট ইউনিটে ২৫ শতাংশ ব্যালট পেপার ওপেন করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এমন অনিয়মের বিষয়ও উঠে এসেছে। আমাদের দুর্ভাগ্য, এরকম একজন খলনায়ককে সিইসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।