সরকারের উচিত র‍্যাবের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া : জাফরুল্লাহ চৌধুরী

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সারা পৃথিবী জানে যে র‌্যাব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এটা কি আমরা লুকাতে পারব? বিদেশিরা সবাই দেখছে। এটা নিয়ে বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়ে লাভ হবে না। সরকারের উচিত আজকেই র‌্যাবের এসব কার্যকলাপ বন্ধ করা। এমনকি র‌্যাবকেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত। র‌্যাবের শুরুটা করেছিল বিএনপি। তাদের এটা ভুল ছিল। নারায়নগঞ্জে র‌্যাবের সদস্যরা ৭ জনকে খুন করেছিল। এসব কি লুকানো যাবে?

আজ (২৭ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পাগলা বাজার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন ও মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মেডিক্যালক্যাম্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. মেজবাহ উদ্দিন, নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এইচ এম শাহরিয়ার সাবেদ, পাগলা গণস্বাস্থ্যের পরিচালক আব্দুল আওয়াল ও পরিচালক গ্রামীণ স্বাস্থ্য টিমের প্রধান এ কে এম ডা. হালিমুর রেজা মিলন প্রমুখ।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনারা অনেকেই জানেন না যে ইয়াবা একটা ওষুধ। আপনি যদি ইয়াবা পেতে চান তবে অবশ্যই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন লাগবে। প্রেসক্রিপশন নিয়ে ইয়াবা আনা হলে এর দাম ৩ থেকে ৫ টাকা হতো। দেশে রাজশাহীতে এক সময় গাঁজা চাষ হতো। হাঁপানির শেষ চিকিৎসা গাঁজা দিয়ে হয়। এছাড়া মানুষ সবচেয়ে বেশি আসক্ত হচ্ছে সিগারেটে। মাদকাশক্তির শুরুই হয় সিগারেট দিয়ে। অথচ এটা নিয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, ড. জাফর ইকবালকে ধন্যবাদ জানায় যে তিনি ছাত্রদের অনশন ভাঙাতে পেরেছেন। এখন সরকারের দায়িত্ব ছাত্রদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া। সেদিন পুলিশ ডেকে উপাচার্য খুব ভুল করেছিলেন। মামলা যা হয়েছে তা প্রত্যাহার করা উচিত। এ ছাড়া শাহজালালের কোনো অধ্যাপক কখনো এটার উপাচার্য হননি। এখানে যারা কাজ করেছেন এত বছর ধরে তাদের থেকে উপাচার্য হওয়া উচিত। সরকার অন্ধ হয়ে যায়। তারা জনগণের দাবি দেখতে পায় না। প্রাক্তন ছাত্র যারা শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করার কোনো মানে হয় না। আমার যদি পয়সা থাকে এবং সাহায্য করি তাহলে তো দোষের কিছু নেই। সরকার সব সময় ভুল পথে হাঁটে। আন্দোলনের প্রথম দিনেই শিক্ষামন্ত্রীর সেখানে আসা উচিত ছিল। ক্যাম্পাসে এসে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বললে ভালো হতো। আজকে তো করোনার অজুহাত দিয়ে তারা আসেননি। এসব জায়গাতে সহমর্মিতা থাকা দরকার।