| |
               

মূল পাতা জাতীয় কঠিন হলেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনই সমাধান : সিইসি


কঠিন হলেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনই সমাধান : সিইসি


রহমত ডেস্ক     27 January, 2022     06:20 PM    


প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি খান মো. নূরুল হুদা বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কঠিন হলেও এটাই একমাত্র সমাধান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘দিনের ভোট রাতে’ হওয়ার যে অভিযোগ, সেটির কোনো সত্যতা নেই। এটা তো অভিযোগ আকারে থেকে গেছে। আদালতের ইন্সট্রাকশন ছাড়া হয় না। অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে আমি কনক্লুসিভ কিছু বলতে পারি না। আমি তো দেখিনি, আপনিও দেখেননি, আপনারা দেখেছেন? এটা একটা অভিযোগ। এখন তদন্ত হলে আদালতের নির্দেশে হয়তো সেটা বেরিয়ে আসতো। সেটা হলে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যেতো। হয়তো সারাদেশের নির্বাচন বন্ধ হতো।

আজ (২৭ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোটার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডি আয়োজিত টক শীর্ষক আলোচনায় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি আরএফইডির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিইসিকে নিয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানের আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে ‘আরএফইডি টক উইথ কে এম নূরুল হুদা’ অনুষ্ঠিত হলো। আরএফইডি সভাপতি সোমা ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জেবেলের পরিচালনায় আরএফইডির সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, দিনের ভোট রাতে হয়েছে এ বিষয়ে কোনো প্রার্থীসহ কেউ নির্বাচন কমিশনে সরাসরি কোনো অভিযোগ করেননি। এমনকি এ অভিযোগ নিয়ে কেউ আদালতেও যাননি। ফলে আমরা ধরে নিচ্ছি, দিনের ভোট রাতে হওয়ার বিষয়টি নেহায়েত একটি অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনের কেউ কোথাও রাতে ভোট হওয়ার বিষয়টি দেখেননি, এমনকি কোনো সাংবাদিকও রাতে ভোট হয়েছে, তা দেখেছেন কিংবা লিখেছেন বলে আমাদের জানা নেই। নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ হয়ে গেলে আমাদের কিছু করার থাকে না। কারণ, এটা আইন। প্রকৃতপক্ষে আমাদের আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগও ছিলো না।

তার অধীনে কমিশনের কাজের নানা দিক তুলে ধরে সিইসি বলেন, ৭ কোটি ৬ লাখের বেশি স্মার্টকার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। ৫ কোটির বেশি বিতরণ করা হয়েছ। ইসির অনেকগুলো আইনি বিধি বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের ভোটার তালিকা সংশোধন হয়েছে। সমালোচনা গঠনমূলক হলে গ্রহণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কোনো চাপ ছিল না, আমরা আমাদের মত করে কাজ করতে পেরেছি। নির্বাচনে সংঘর্ষ, সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয়, যদি না প্রার্থীরা সহনশীল হয়। , আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শতভাগ ইভিএমে করা সম্ভব হবে না, তবে ৫০ ভাগ করা যেতে পারে। দায়িত্ব পালনকালে নিজেকে ‘শতভাগ সফল নয়’ দাবি করলেও আন্তরিকতার কোনো অভাব ছিল না।