বিশ্ববাজারে দফায় দফায় কমেছে তেলের দাম, দেশে কমবে কবে?

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে দেশের বাজারে তেলের দাম বাড়িয়ে ছিলো সরকার। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত দাম কমানোর ঘোষণা আসেনি।

এদিকে তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে বাড়ানো বাস-ট্রাক–লঞ্চের ভাড়াও আর কমেনি। ক্ষুব্ধ মানুষের প্রশ্ন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে দেশের বাজারে কেন তা হবে না? তেলের দামের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের। 

গত বছর নভেম্বরের শুরুতে এক লাফে লিটারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১৫ টাকা বাড়ায় সরকার। ফলাফল, অস্থিরতা, গণপরিবহণে দৌরাত্ম্য। ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট পরিবহণ মালিকদের। দফায় দফায় আলোচনা, তারপর মালিকদের দাবি পূরণ। ৭ নভেম্বর থেকে বাড়তি ভাড়া গুনছে সাধারণ মানুষ। বাস, ট্রাক, লঞ্চ ভাড়ার প্রভাব পড়েছে পণ্য ও পণ্য পরিবহণে।

দাম বাড়ানোর অজুহাত ছিল আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি আর ভারতে পাচারের আশঙ্কা। তখন প্রতি ব্যারেলের দর ছিল ৮৫ ডলার। কয়েক দফায় কমে এখন তা নেমে এসেছে প্রায় ৭০ ডলারে। প্রতিবেশী ভারতেও কমেছে দাম। প্রশ্ন হলো, দেশে ডিজেল কেরোসিনের দাম কমছে না কেন?

জ্বালানি তেলের দাম না কমালে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।  এদিকে আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণের কথা বলে এখনি দাম কমাতে চাচ্ছে না সরকার।