ওমিক্রন প্রাদুর্ভাব: ১১ বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯)-এর নতুন ভ্যারিয়েট ওমিক্রন এর প্রাদুর্ভাব ও দেশে এই রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ১১ বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি প্ৰতিপালনে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ২৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিম্নবর্ণিত বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলো--

১.দোকান, শপিংমল ওবামারে ক্রেতা-বিক্রেত এবং হোটেল-রেস্তোঁরাসহ সকল জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। 

২.  অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

৩. রেঁস্তোরায় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা টিকা সমস্ত প্রদর্শন করতে

৪. ১২ বছরের উপরে সকল ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পথে টিকা ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না।

৫. স্থলবদর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানগরসমূহে তিনিং-এর সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টসমূহে কু-দের আহামের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে হবে।  স্থলবন্দরগুলোতেও আগের ট্রাকের সাথে শুধুমাত্র চালক থাকতে পারবে। কোনো সহকারী আসতে পারবে না। বিয়েদের সঙ্গে অন্য নারীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে

৬.  ট্রেন, বাস এবং লঞ্চ সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যান নেয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সর্বপ্রকার ঘানের চালক ও সহকারীদের আংশিকভাবে কোষিত-১৯ টিকাধারী হতে হবে।

৭. বিদেশ থেকে আগত যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোচিত-১৯ টিকা সমপ্রদর্শন ও Rapid Antigenou করতে হবে।

৮. স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মঞ্চ পরিধানের বিষয়ে সকল মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামগণ সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

৯. সর্বসাধারণের করোনায় টিকা এবং বৃষ্টির ফোক গ্রহণ করান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনীয় প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহায়তা গ্রহণ করবে।

১০. কোডির ক্রমবর্তমান হওয়ার উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশসমূহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

১১. কোনো এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে। উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।