| |
               

মূল পাতা জাতীয় রাজনীতি দেশের মানুষকে সঠিক ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে : ফখরুল


দেশের মানুষকে সঠিক ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে : ফখরুল


রহমত ডেস্ক     25 December, 2021     09:57 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষকে সঠিক ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা অনেকে ভুলে যাচ্ছি অথবা ভুলিয়ে দিতে চাচ্ছি। এই যে একটা আবহ সৃষ্টি হয়েছে, অতীতের যা কিছু মহান, যা কিছুকে ভালো সবকিছু ভুলিয়ে দাও। আর যারা ভালো কাজ করছেন, করেছেন, আমাদের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন- তাদের মনে করার কোনো দরকার নেই। এই ধরনের একটা আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে। এটা খুব কষ্টের, বেদনার। এটা কখনো কোনো জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় না। আমরা নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে চাই, আনন্দময় স্বপ্ন দেখতে চাই। আমরা আলোকিত পৃথিবী চাই, অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। যদি আমাদের চারদিকে অন্ধকার ছেয়েও ফেলে, তবুও আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।

আজ (২৫ ডিসেম্বর) শনিবার বিকালে জিয়া শিশু একাডেমি আয়োজিত শাপলা কুঁড়ির শিল্পীদের পুরস্কার বিতরণ ও বড়দিনের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যালবার্ট পি কসটা প্রমুখ। ১৯৯৯ সালে শাপলা কুঁড়ির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৯ সাল থেকে এই পর্যন্ত যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন তাদেরকে শাপলা কুঁড়ি মেডেল দেওয়া হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান স্বপ্ন দেখতেন একটা আনন্দময়, কল্যাণময় সমৃদ্ধ একটা বাংলাদেশ গড়বার। তিনি শুরু করেছিলেন সেইভাবে, প্রতিটি শিশুকে শ্রেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সংকটটা বড় জটিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে এই বছর। একইসঙ্গে চলছে বিজয়ের মাস। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, পথ দেখিয়েছিলেন, আমাদের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, আমাদের জন্য বন্দি ছিলেন- এই বিজয়ের মাসে তাদেরকে আমরা সেইভাবে সামনে নিয়ে আসতে পারছি না, মনে করতে পারছি না। আমরা অবশ্যই স্মরণ করবো খালেদা জিয়াকে, যিনি সমস্ত প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছিলেন। তিনি আজ অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আজকের এই বড়দিনে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি- তিনি যেন তাকে সুস্থ করে আবার আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে দেন।