রহমত ডেস্ক 21 December, 2021 08:32 PM
আলেমদের অবদান পাশ কাটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা অসম্ভব মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, তারা নিজের জীবন বাজি রেখে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু স্বাধীনতা ৫০ বছর অতিক্রম করলেও এখনো মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক দাবি পূরণ হয়নি। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের থেকে স্বাধীন হয়েছি কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন আইন প্রনয়ন ও প্রয়োগে সম্পুর্ণ ব্যর্থ হয়েছি, যার ফলে বারবার দলীয়মদদপুষ্ট মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়।
আজ (২১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন-এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান মুজাহিদের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছেন আলেমসমাজ, তাদের অবদান পাশ কাটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্ভব। অতএব তাদেরকে বাদ দিয়ে অথবা তাদের চেতনার বিরোধী কোনো বিষয় মুক্তিযুদ্ধের সাথে সংযুক্ত করার প্রবণতা সুফল হবে না। বৃটিশ খেদাও আন্দোলন, দেশ বিভাজনের আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে তিনি বলেন, “আমি আগে মুসলিম; তারপর বাঙ্গালী”। তাই একথা স্পষ্ট প্রমাণিত ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য নয় বরং ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে দেশ পরিচালনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, সর্বমোট খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ৬৭৭ জনের মধ্যে শুধুমাত্র ৬ জন অমুসলিম। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে এদেশের মুসলিম ও আলেমদের অবদান সকলকেই একবাক্যে স্বীকার করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন প্রধান অতিথীসহ অন্যান্য অতিথীবৃন্দ।