মূল পাতা আন্তর্জাতিক ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলা: সাহসিকতার সর্বোচ্চ পুরস্কার পেলেন দুই মুসলিম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 20 December, 2021 03:50 PM
সাহসিকতার জন্য নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ পুরস্কার পেলেন দুই মুসলিম। তাঁরা হলেন, ড. নাইম রশীদ ও আবদুল আজিজ। ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার সময় হামলাকারীকে বাধা দেওয়া এবং মুসল্লিদের রক্ষায় চেষ্টার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন এ দুই মুসলিম। তথ্য জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
সর্বোচ্চ সাহসিকতার পুরস্কার নিউজিলান্ড ক্রস প্রবর্তন করা হয় ১৯৯৯ সালে। এর আগে মাত্র দুই জন এই পুরস্কার পেয়েছেন। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার সময় সাহসী ভূমিকার জন্য আরো আট জনকে বিভিন্ন সাহসিকতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন এই সাহসিকতাকে স্বার্থহীন এবং অনন্য বলে উল্লেখ করেছেন।
ড. রশীদ হামলাকারী বন্দুকধারীকে ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ হারান। ড. রশীদ ও তার ছেলে হামলার দিনে আন নূর মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। হঠাৎ এক বন্দুকধারী ঢুকে নির্বিচারে গুলি করা শুরু করে।
হামলাকারী যখন মুসল্লিদের দিকে গুলি করছিলেন, তখন ড. রশীদ পেছন থেকে দৌড়ে বন্দুকধারীর দিকে ছুটে যান। তিনি যখন হামলাকারীর তিন ফুট কাছে যান, ঐ সন্ত্রাসী টের পেয়ে ঘুরে গুলি ছোড়ে। তখন কাঁধে গুলিবিদ্ধ হয়েও ড. রশীদ ছুটে গিয়ে হামলাকারীকে জাপটে ধরে মাটিতে ফেলে দিতে সক্ষম হন। হামলাকারী উঠে আবার গুলি করলে ড. রশীদ মারা যান।
কিন্তু তার এই অসীম সাহসিকতার কারণে কমপক্ষে সাত জনের প্রাণ বাঁচে। তারা ঐ সময় পালিয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যান। নিউজিল্যান্ড ক্রস পাওয়া আব্দুল আজিজ ছেলেকে নিয়ে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন লিনউড মসজিদে। বন্দুকধারী ক্রাইস্টচার্চে হামলার পরে লিনউডে হামলা চালায়। নির্বিচারে গুলি করতে করতে গুলি শেষ হয়ে যাওয়ায় গাড়িতে এসে আরেকটি বন্দুক নেয়।
এ সময় আব্দুল আজিজ হাতের কাছে একটি ক্রেডিট কার্ড মেশিন পেয়ে সেটা নিয়েই চিৎকার করতে করতে বন্দুকধারীর দিকে ধেয়ে আসেন। বন্দুকধারী গুলি করলে তিনি একটি গাড়ির আড়ালে লুকিয়ে যান। বন্দুকধারীর ফেলে দেওয়া বন্দুকটি আজিজ তুলে নেন এবং গুলি করতে গিয়ে দেখেন গুলি নেই। তিনি গাড়ির আড়াল থেকে চিৎকার করে বন্দুকধারীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
এরপর বন্দুকটি দিয়ে হামলাকারীর গাড়ির পেছনের জানালা ভেঙে ফেলেন। হামলাকারী প্রতিরোধের মুখে ঘটনাস্হল থেকে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যান।