| |
               

মূল পাতা জাতীয় রাজনীতি ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ও নিষেধাজ্ঞা রাষ্ট্রের জন্য অসম্মানজনক’


‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ও নিষেধাজ্ঞা রাষ্ট্রের জন্য অসম্মানজনক’


রহমত ডেস্ক     11 December, 2021     07:51 PM    


জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের বর্তমান ও সাবেক ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রাষ্ট্রের জন্য অসম্মানজনক। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আজ (১১ ডিসেম্বর) শনিবার ঢাকার ফেনী সমিতি মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া, মিসেস তানিয়া রব, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, আহসান উদ্দিন চৌধুরী সুইট, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, লোকমান হাকিম, মতিয়ার রহমান মতি, আমিন উদ্দিন বিএসসি, আমির উদ্দিন মাস্টার, এস এম সামসুল আলম নিক্সন, শ্রী নীল রতন মিস্ত্রি, আনোয়ারুল কবির মানিক, হারুনুর রশিদ বাবুল প্রমুখ।

আ স ম আবদুর রব বলেন,  বাংলাদেশে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে, বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে, ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগ, নির্বাচনবিহীন সংস্কৃতির প্রশ্নে বারবার প্রতিকারের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বহুদিন ধরে আমরা দাবি উত্থাপন করে আসছি। কিন্তু সরকার এসবের প্রতি কর্ণপাত না করে সবকিছু উপেক্ষা করে এই সংকটকে আরও গভীর করেছে। এখনো যদি সরকার ভোটাধিকার ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করে তাহলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র বড় ধরনের সংকটে পড়বে। তাছাড়া জাতিসংঘের শান্তি মিশনসমূহে বাংলাদেশের অংশগ্রহণও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। আন্তর্জাতিক পরিসরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ও আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমরা অবিলম্বে সরকারকে তার অবস্থান সুস্পষ্ট করার আহ্বান জানাচ্ছি।

সভায় সমসাময়িক জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বিস্তারিত আলোচনা শেষে রাজনৈতিক প্রস্তাবনা ও কতিপয় সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে ২০২২ সালের অক্টোবরে কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নির্ধারণ করে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সকল জেলা-উপজেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলন সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে বর্তমান গণতন্ত্রহীন অবস্থায়, গণমানুষের দৈনন্দিন সমস্যাসমূহ নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম জোরদার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।