| |
               

মূল পাতা জাতীয় রাজনীতি ‘বায়তুল মোকাররম নিয়ে কোনো দখলদারি বরদাশত করা হবে না’


‘বায়তুল মোকাররম নিয়ে কোনো দখলদারি বরদাশত করা হবে না’


রহমত ডেস্ক     05 December, 2021     03:46 PM    


জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্ব দিকের প্রবেশ পথকে বন্ধ করে পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতাকর্মীরা। আজ (৫ ডিসেম্বর) রবিবার সংবাদ মাধ্যমেঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার নগর উত্তর আমেলার নিয়মিত মাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে নগর সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নূরুল ইসলাম নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, অর্থ সম্পাদক ডা. মুজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম শুধু বাংলাদেশের ঐতিহ্য নয়, বরং সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র একটি অন্যতম প্রতীক। জাতীয় মসজিদকে আরও উন্নত ও আধুনিক করতে উদ্যোগ না গ্রহণ করে উল্টো মসজিদে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে পার্ক তৈরির চেষ্টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের রশি নিয়ে টানাটানির খবরে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারকে এখনই জাতীয় মসজিদের সম্মান তথা কোটি কোটি মুসলিম জনতার ধর্মীয় অনুভূতি প্রকাশের কেন্দ্রবিন্দুর ভালোবাসা রক্ষায় হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসতে হবে। অন্যথায় সাধারণ জনগণের ক্ষোভের কারণে অনভিপ্রেত পরিস্থিতির দায় সরকার এড়াতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমকে আরও সৌন্দর্যমন্ডিত করতে সৌদি সরকারের অর্থায়নে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে মসজিদের পূর্ব পাশে মিনার নির্মাণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিনার নির্মাণ কাজ এখনও শুরু না হলেও ওই পূর্ব পাশে পার্ক নির্মাণের নামে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রীর জন্যও অত্যন্ত লজ্জার বলে মনে করি। ২০০৪ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে অনুমতি নিয়ে পূর্ব পাশের রাস্তায় এনএসসি টাওয়ার নির্মাণের সময় মালামাল রেখেছিল। ২০০৭ সাল থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি খুলে দিতে বারবার চিঠি দিলেও তাতে কর্ণপাত করেনি কর্তৃপক্ষ। আজ উল্টো সেই রাস্তা দখল করে ধর্মপ্রাণ জনগণকে বিষিয়ে তুলছে এ কুচক্রী মহল। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অন্তরে আঘাত দিয়ে তাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন না। অনতিবিলম্বে পূর্ব পাশের রাস্তা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ব পাশের মিনার নির্মাণ করতে হবে।