খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য আইন বাধা নয়, বাধা সরকার: ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবচেয়ে বড় অবদান যে নেত্রীর তিনি দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ। তার সুচিকিৎসার জন্য আমরা কয়েকদিন যাবত দাবি জানিয়ে আসছি। তিনি আজ চিকিৎসার সুযোগটুকু পাচ্ছেন না। সরকার আইনের দোহাই দিচ্ছে। কিন্তু এই আইনের মধ্যে স্পষ্টভাবে লেখা আছে, সরকার ইচ্ছা করলে তাকে বিদেশে চিকিৎসা দিতে পারে। বাধা আইন নয়, বাধা এই সরকার।

আজ (১ ডিসেম্বর) বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার গণতন্ত্রের মূল কণ্ঠ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। কথা বলতে দিতে চায় না। তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে এবং আজকে বাংলাদেশের মানুষকে তাদের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। আজকে এখানে মৌন মিছিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মৌন মিছিলকে সরকার ভয় পায়। এই মিছিলের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘণ্টা বাজতে দেখেছে তারা। তাই স্বাভাবিকভাবে সেটাকে আটকে তো দিবেই। আজকে আমাদের এখানে দাঁড়িয়ে কথা বললে হবে না। আমাদের ঘরে ঘরে মা-বোনদের জাগিয়ে তুলতে হবে। যে সমস্ত মানুষকে একত্রিত করতে হবে। একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা যে সকল অধিকার অর্জন করেছিলাম বর্তমান সরকার একটি একনায়তান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য তা সমস্ত লুট করে নিয়ে গেছে। তাদের ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করতে, এদেশের টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দিতে একটি ভিন্ন রূপে তারা একনায়তান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেজন্য আজকে আমাদের জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে হবে যেভাবে ১৯৭১ সালে আমরা লড়াই করেছি। আমাদের সকল অধিকারগুলোকে ফিরে পেতে আমাদের আবার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে।