| |
               

মূল পাতা জাতীয় আইন-আদালত রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিচার শুরু


এফআর টাওয়ারে নকশা জালিয়াতি

রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিচার শুরু


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     18 October, 2021     11:05 PM    


এফআর টাওয়ারে নকশা জালিয়াতির ঘটনায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিচার শুরু হয়েছে। জানা গেছে, রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি মামলায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন খাদেমসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় আসামিরা মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ইজারা গ্রহীতা সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক (এস এম এইচ আই ফারুক), রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বর্তমান চেয়ারম্যান) লিয়াকত আলী খান মুকুল ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রধান প্রকশলি সাইদুর রহমান। রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহমেদ মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিচার শুরু হওয়া ৪ আসামি জামিনে আছেন।

এফআর টাওয়ারের ১৫তলা অনুমোদন থাকলেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ লঙ্ঘন করে নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ জুন দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছর ২৯ অক্টোবর পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন একই কর্মকর্তা। এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন এবং নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলাবিশিষ্ট এফআর টাওয়ার নির্মাণ করেন। ১৯৯০ সালে ১৫তলা ভবন নির্মাণের জন্য রাজউকের অনুমোদন পান এস এম এইচ আই ফারুক। পরে ১৯৯৬ সালে ১৮তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন চেয়ে সংশোধিত নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন তিনি। সংশোধিত নকশা ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী না হওয়া এবং প্রস্তাবিত ভবনের উচ্চতা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিধিনিষেধ অনুযায়ী অনুমোদনযোগ্য নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এর এক মাসের মধ্যেই সংশোধিত ও নকশা অনুমোদন করা হয়। এ কাজে অবৈধ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।

/জেআর/