| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলা নিয়ে হলিউডে ছবি: মুসলিমদের ক্ষোভে সরে দাঁড়ালেন প্রযোজক


ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলা নিয়ে হলিউডে ছবি: মুসলিমদের ক্ষোভে সরে দাঁড়ালেন প্রযোজক


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     15 June, 2021     03:27 PM    


নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার বিষয় নিয়ে হলিউডে ছবি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পরে মুসলিমদের ক্ষোভের মুখে নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রযোজক। খবর বিবিসির।

চলচ্চিত্রটির প্রযোজক ফিলিপা ক্যাম্পবেল ছবিটিতে তার সংশ্লিষ্টতার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, এই ছবি অনেকের মনোকষ্টের কারণ হতে পারে, সেটি আমি আগে বুঝতে পারিনি। আমি সম্প্রতি এই ছবি নিয়ে প্রকাশ করা উদ্বেগের কথা শুনেছি এবং মানুষের মতামতের শক্তি উপলব্ধি করতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, মানুষের মনে ১৫ মার্চের ওই মর্মান্তিক ঘটনার ক্ষত এখনও শুকায়নি। এখনই এ ঘটনা নিয়ে ছবি করার সময় যে আসেনি এ বিষয়ে আমি একমত এবং মানুষের মনে আঘাত লাগতে পারে এমন কোনো প্রকল্পের সঙ্গে আমি জড়িত থাকতে চাই না।

এ ব্যাপারে মুসলিমদের অভিযোগ- দেশটির মুসলিম সমাজ যারা এই হামলার শিকার হয়েছিলেন, তারা বলছেন, ছবিটিতে হামলার শিকার মুসলমান সম্প্রদায়কে ফোকাসে রাখা হয়নি। এর প্লটে তারা গৌণ হিসেবে থাকছেন। মুখ্য হচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। এতে তাকে একজন 'শ্বেতাঙ্গ ত্রাতার' ভূমিকায় সামনে নিয়ে আসা হচ্ছিল।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন সোমবার বলেন, ছবিটি তৈরির জন্য সঠিক সময় এখনও আসেনি এবং ছবিটির ফোকাস নির্বাচন ভুল হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো— ঘটনার পর বেশি তাড়াতাড়ি এই ছবি করা হচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের মানুষের জন্য এর ক্ষত এখনও শুকায়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেক কাহিনি রয়েছে, যা তুলে ধরা যায়। আমি মনে করি না- আমার গল্প এখানে প্রধান।

জানা যায়, ওই চলচ্চিত্রটির প্রস্তাবিত নাম 'দে আর আস'। মূল ফোকাস ঠিক করা হয়েছিল ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদের ওপর ২০১৯ সালের সন্ত্রাসী হামলা নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন কীভাবে মোকাবিলা করেছিলেন সেটি নিয়ে।

ওই হামলার সময় আরডার্ন যে সহমর্মিতা দেখিয়েছিলেন, তা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। চলচ্চিত্রের প্রস্তাবিত নামটিও নেওয়া হয়েছে হামলার ঘটনার পর তার দেওয়া একটি ভাষণ থেকে।

উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে ভয়াবহ ওই সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫১ জন মানুষ।

/জেআর/