| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক আর্মেনীয় মাইনে ২৭ আজারবাইজানি নিহত


আর্মেনীয় মাইনে ২৭ আজারবাইজানি নিহত


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     05 June, 2021     09:39 PM    


নাগরনো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার ফেলে যাওয়া মাইন বিস্ফোরণে অন্তত ২৭ জন আজারবাইজানি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (০৪ জুন) আজারবাইজানের প্রসিকিউটর জেনারেলের দফতর বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, নভেম্বর থেকে দখলমুক্ত করা ভূমিতে আর্মেনিয়ার ফেলে যাওয়া মাইন বিস্ফোরণে সাত সৈন্যসহ মোট ২৭ আজারবাইজানি নাগরিক নিহত হয়েছেন। অপরদিকে মাইন বিস্ফোরণে ৮৬ সৈন্য ও ২৯ বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।

প্রায় তিন দশক আর্মেনিয়ার দখলে থাকার পর গত বছরের নভেম্বরে নাগরনো-কারাবাখ ও আর্মেনিয়ার দখলে রাখা ভূমি আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে, গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর, আর্মেনিয়া আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করলে দুই দেশ নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ৪৪ দিনের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত করে আজারবাইজান বিভিন্ন শহর ও অন্তত তিন শ’ জনবসতি ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যা প্রায় তিন দশক আর্মেনীয় দখলের অধীনে ছিল।

যুদ্ধ বন্ধ করতে ও সংঘাতে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের উদ্দেশে দেশ দু’টি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ১০ নভেম্বর একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয় হিসেবে মনে করা হয়। চুক্তিটির ফলে আর্মেনিয়াকে নাগরনো-কারাবাখ থেকে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে ফেলতে হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি তদারকে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে স্মারক চুক্তির আওতায় নাগরনো কারাবাখের আগদাম অঞ্চলে একটি যৌথ মনিটরিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। যৌথ এই মনিটরিং সেন্টার থেকে তুরস্ক ও রাশিয়ার সেনাবাহিনী যৌথভাবে যুদ্ধবিরতি তদারকি করছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। ১৯৯৪ সালে আজারবাইজানের ভূমি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নাগরনো-কারাবাখ ও এর কাছাকাছি আরো সাতটি অঞ্চল আর্মেনিয়া দখল করে নেয়। গত নভেম্বরে নাগরনো-কারাবাখ ও অন্যান্য এলাকা নতুন করে আবারও আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রণে আসে।