উখিয়া প্রতিনিধি 18 February, 2021 01:48 PM
সুউচ্চ পাহাড় আর সবুজের সমারোহ মিলিয়ে ‘গোয়ালিয়া ঢালা’। পাহাড় ছেদ করে বয়ে যাওয়া আঁকাবাঁকা গোয়ালিয়া সড়কের নৈসর্গিক দৃশ্য যে কারও চোখ জুড়িয়ে যায়। পাহাড় আর সড়কের মিতালি যেন এক রোমাঞ্চকর ভ্রমনের মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে পর্যটকদের কাছে। এ কারণে দিন দিন পর্যটকদের আগমন বাড়ছে ‘গোয়ালিয়া ঢালা’য়। সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে এই নৈসর্গিক ‘গোয়ালিয়া ঢালা’ হয়ে উঠতে পারে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট।
কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ‘গোয়ালিয়া ঢালা’। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ হয়ে রেজুখাল ব্রীজ পর্যন্ত গেলেই চোখে পড়বে গোয়ালিয়া সড়ক। মূলত রেজুখাল ব্রীজ থেকেই পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় এই পর্যটন স্পটে। ইতিমধ্যে অনেকের কাছে ‘গোয়ালিয়া পার্ক’ ‘মিনি বান্দরবান’ নামে পরিচিতি পেলেও সম্প্রতি ‘রূপসী গোয়ালিয়া’ নামে বেশ পরিচিতি পেয়েছে। প্রতিদিনই এই ‘রূপসী গোয়ালিয়া’ পর্যটন স্পটে দূর-দূরান্ত থেকে এসে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছে। নিরিবিলি পরিবেশে মুক্ত বাতাস যেন পর্যটকদের মন জুড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে ঘিঞ্জি শহরে ব্যস্তময় জীবনে বেড়ে ওঠা অনেকেই শান্তির নীড় খুঁজে বেরিয়ে পড়ে ‘রূপসী গোয়ালিয়া’ ভ্রমণে। এমনই কিছু পর্যটকের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। পর্যটকরা জানান, নির্ভেজাল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজেকে মেলে ধরতে চাইলে ‘রূপসী গোয়ালিয়া’র কোনও বিকল্প নেই।
কক্সবাজার বনবিভাগের দক্ষিন বিভাগীয় কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পর্যটনের বিষয়ে কোনও ধরনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়নি। বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুবিধার্থে গোয়ালিয়া সড়কের পাশে একটি ‘গোলঘর’ স্থাপন করা হয়েছে। মূলত উক্ত গোলঘরটি বিশ্রামের জন্য তৈরি করা হলেও এখন দেখছি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণ বেড়েছে।’
তিনি বলেন, চলতি বছর পাহা গুলোতে বনবিভাগ বাগান সৃজন করেছে। প্রায় ৭৫ হেক্টর বনভূমিতে গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। আগামী বছর আরও ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বাগান সৃজন করা হবে। রেজুখালের পাশের সু-উচ্চ পাহাড় থেকে গোয়ালিয়া সড়ক হয়ে দক্ষিণ গোয়ালিয়া পর্যন্ত সবুজ বনায়ন সৃষ্টি করা হবে। তবে সরকার যদি মনে করেন তাহলে সেখানে পর্যটন স্পট গড়ে উঠতে পারে।
-জেড